ডেস্ক: ৩৮তম বিসিএসে রেকর্ডসংখ্যক সোয়া ৩ লাখ প্রার্থী আবেদন করেছেন। সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) ৪০ বছরের ইতিহাসে কোনো বিসিএসে এর আগে এত প্রার্থী আবেদন করেননি।
৩৫তম বিসিএসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক ২ লাখ ৪৪ হাজার প্রার্থী আবেদন করেন।
পিএসসি চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক বলেন, বিসিএস পরীক্ষার প্রতি মেধাবীদের আকর্ষণ সবসময়ই ছিল। সম্প্রতি এর সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে নন-ক্যাডার পদে নিয়োগের সুযোগ। এখন উত্তীর্ণ হলে ক্যাডার পদে না হলেও প্রথম-দ্বিতীয় শ্রেণির নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ পাওয়া যায়। আমার মতে, এ কারণেই এবার এত প্রার্থী আবেদন করেছে।'
বৃহস্পতিবার বিকাল ৬টায় ৩৮তম বিসিএসে আবেদন গ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ হয়। ওই সময় পর্যন্ত ৩ লাখ ৮৯ হাজার ৪৬৮জন আবেদন করেছেন। এর মধ্যে ৩ লাখ ২৭ হাজার ৭৩৫জন টাকা জমা দিয়ে আবেদন নিশ্চিত করেছেন। অর্থাত্ এখনও আবেদন নিশ্চিত করেন নি ৬১ হাজার ৭৩৩জন।
১৩ আগস্ট পর্যন্ত আবেদন ফি জমা দেয়া যাবে। সে কারণে প্রার্থী আরও বাড়তে পারে বলে মনে করেন পিএসসির শীর্ষপর্যায়ের কর্মকর্তারা।
বর্তমানে ৩৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি, লিখিত পরীক্ষা ও ভাইভা শেষ করে ফল প্রণয়ন প্রক্রিয়া চলছে। শিগগিরই এর ফল প্রকাশ করা হবে।
৩৭তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা শেষে খাতা মূল্যায়ন চলছে। পিএসসি সর্বশেষ ৩৫তম বিসিএসে ক্যাডার ও নন-ক্যাডার পদে নিয়োগের সুপারিশ পাঠায়। এর মধ্যে বিজ্ঞপ্তিকালে ১ হাজার ৮০৩টি পদের কথা বলা হলেও শেষ পর্যন্ত ২ হাজার ১৭২টি পদে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়।
এ বিসিএসে আরও প্রায় ২২শ' প্রার্থীকে নন-ক্যাডার পদে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। ৩৪তম বিসিএসে ২ হাজার ২৫৩জনকে নন-ক্যাডারে নিয়োগ দেয়া হয়। ক্যাডারপদে সুপারিশ করা হয় ২ হাজার ১৭৫জনকে।