সরেজমিনে বন্যা কবলিত বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কোন কোন বিদ্যালয়ে হাটু থেকে কোমার পর্যন্ত পানি ঢুকেছে। উপজেলার ৪ ইউনিয়নের চরাঞ্চলসহ ১৭টি গ্রামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর বেশী ক্ষতি হয়েছে। ফলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান ব্যহত হচ্ছে। উপজেলা শিক্ষা অফিসার গোলাম আসাদুজ্জামান জানান বন্যার কারনে চর ঢুসমারা, গুপিডাঙ্গা, চর গনাই, রহমানিয়া, পল্লীমারী, পল্লীমারী একতা, চর নাজিরদহ, চর চতুরা, পাঞ্জরভাঙ্গা, গদাই, প্রাননাথ চর, আজমখা, চর গনাই হয়বতখাঁ, চরটাপু হয়বতখাঁ ব্রীফ সৌহার্দ্য সরকারী প্রাথমিকি বিদ্যালয় ও ঢুসমারা চরে ২টি ও মধুপরে ৩টি কওমি মাদ্রাসা সহ ২০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান গুলোর তালিকা উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠান হয়েছে। মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাকির হোসেন জানান নাজিরদহ একতা উচ্চ বিদ্যালয়, ইসলামীয়া উচ্চ বিদ্যালয়, পল্লীমারী উচ্চ বিদ্যালয়, প্রাননাথ আদর্শ নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ভূতছাড়া আদর্শ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, হরিচরন লস্কর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পাটয়াটারী দাখিল মাদ্রাসা, ঠাকুরদাস ইবতেদায়ী মাদ্রাসা, কুর্শা উচ্চ বিদ্যালয়, চর চতুরা হাফিজিয়া মাদ্রাসা মোট ৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতি গ্রস্ত হয়েছে। প্রতিষ্ঠান গুলোর তালিকা উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠান হয়েছে।
এদিকে বন্যার কারনে চরাঞ্চলে চলছে মানুষে খাদ্য ও গো-খাদ্য সংকট। সেই সাথে বিশুদ্ধ পানি তীব্র সংকট ও দেখা দিয়েছে পানি বাহিত রোগ। ইতি মধ্যে পূর্বের বন্যার জিআর ১০ মেঃটন ও বর্তমান বন্যায় ২০ মেঃটন জিআর চাউল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপঙ্কর রায় জানান বন্যা কবলিত ইউনিয়ন গুলোতে ১৪ টন জিআর চাউল এবং উপজেলা পরিষদ থেকে বানভাসী মানুষের জন্য ৪৪৭ প্যাকেট শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে। কাউনিয়ায় বন্যা কবলিত এলায় পর্যাপ্ত ত্রান সামগ্রি না পাওয়ায় বানভাসী মানুষ চরম দূর্ভোগে পড়েছে। জরুরী ভিত্তিতে দূর্গত এলাকায় ত্রান পৌছানোর দাবী জানিয়েছে সাধারন মানুষ।