মৎস্য অধিদপ্তর রংপুর বিভাগীয় উপপরিচালকের কার্যালয়ের তথ্যমতে, বন্যায় রংপুর বিভাগের ৮ জেলায় ৯০ হাজার পুকুর ও খামার বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে খামারিদের মাথায় হাত পড়েছে। এভাবে একসঙ্গে এ বিভাগে এত মাছের পুকুর ও খামার পানিতে তলিয়ে যাওয়ার ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি। তবে এর আগে বিভিন্ন সময় বন্যায় কুড়িগ্রাম, রংপুর, গাইবান্ধা ও লালমনিরহাট জেলার কিছু এলাকায় বন্যায় পুকুর ও জলাশয় উপচে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছিল।
দিনাজপুরে ৪০ একর এলাকা নিয়ে ‘সুখ সাগর’ নামের মাছের খামারটি ইজারা নিয়েছেন আজম খান। বন্যায় এখানকার সব মাছ বের হয়ে গেছে। আজম খান গতকাল মুঠোফোনে বলেন, তাঁর প্রায় দুই কোটি টাকা ক্ষতি হয়ে গেল। এই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া আর কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার আলমবিদিতর ইউনিয়নের বড়াবাড়ী এলাকার মৎস্যচাষি আহসানুল কবীর এ বছর ওই এলাকায় প্রায় সাড়ে নয় একর জমির ওপর একটি মাছের খামারে মাছ চাষ করেছিলেন। কিন্তু তিস্তা নদীর বানে খামার উপচে যায়। তিনি বলেন, অনেক জাতের মাছ ছিল। ক্ষতি হয়েছে আট থেকে নয় লাখ টাকা।
মৎস্য অধিদপ্তর রংপুর বিভাগীয় উপপরিচালকের কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক অদ্বৈত চন্দ্র রায় বলেন, বন্যায় রংপুর বিভাগের ৮টি জেলায় ৯০ হাজার মাছ চাষের পুকুর-খামার তলিয়ে গেছে। মৎস্যচাষিদের ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩০০ কোটি টাকা হবে বলে প্রাথমিক জরিপে জানা গেছে।