তিনি আজ রোববার সকালে দিনাজপুরে বন্যা দূর্গত এলাকারা পরিদর্শন এবং বানভাসি মানুষকে ত্রাণ বিতরণ কালে একথা বলেন।
দিনাজপুর জিলা স্কুল আশ্রয় কেন্দ্র ত্রাণ বিতরণের আগে তার ভাষণে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা বানভাসি মানুষের কাছে ঋণের টাকা এখন না তুলার নিদের্শ দিয়ে বলেন,এনজিও গুলো যাতে বানভাসি মানুষের কাছে এখন ঋণের টাকা না তুলে তার জন্য নিদের্শ দিচ্ছি।
সকাল ১০টা ৫৯ মিনিটে থেকে ১১টা ১২ মিনিট পর্যন্ত ১৩ মিনিটের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন,বন্যার কারণে নতুন করে খাদ্য আমদানী করা হচ্ছে। আমাদের যথেষ্ট খাদ্য মজুদ রয়েছে। কেউ যাতে না খেয়ে থাকে আমরা তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করবো।
দিনাজপুর জেলা প্রশাসক মীর খায়রুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আওয়ামীলীগের সাংগঠরিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধূরী, জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি,জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মীর্জা আশফাক,কোতয়ালী আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ ঘোষ কাঞ্চন।
দিনাজপুরে ইয়াসমি ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা উল্লেখ করে প্রধানন্ত্রী বলেন,সে সময় বিএনপি ক্ষমতায় ছিলো। আমি সেসময় নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী সফর সঙ্গী হিসেবে,কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধূরী, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া,খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক উপস্থিত ছিলেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী বিরল উপজেলার ফরক্কাবাদ ইউনিয়নের আশ্রয় কেন্দ্র পরিদর্শণ ও বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন।দিনাজপুর সার্কিট হাউজে দুপুরের নামাজ ও খাওয়া শেষ করে তিনি কুড়িগ্রামের উদ্দেশ্যে হেলিকপ্টার যোগে রওনা দেন।