আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

২১ আগষ্ট; বিচার না পেয়ে হতাশ রংপুরের রেজিয়ার পরিবার

সোমবার, ২১ আগস্ট ২০১৭, দুপুর ০১:০৮

২০০৪ সালের ১৭ আগষ্ট সারা দেশের বিভিন্নস্থানে বোমা হামলার প্রতিবাদে ২১ আগষ্ট দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে মহানগর আওয়ামীলীগের সমাবেশ ছিল। সমাবেশ শেষে সন্ত্রাস বিরোধী শান্তি মিছিলের কথা ছিল। এ শান্তি মিছিলে নেতৃত্ব দেয়ার কথা ছিল আওয়ামীলীগীরে সভানেত্রী ও তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার। মিছিল শুরু আগের মুর্হূতে ট্রাকের ওপর নির্মিত খোলা মঞ্চে দাঁড়িয়ে শেখ হাসিনার বক্তব্য শেষ হওয়া মাত্র বিকেল ৫টা ২২ মিনিটে তাকে লক্ষ্য করে মুহুমর্হু গ্রেনেড হামলা হয়। বিকট শব্দে একের পর এক বিস্ফোরিত হয় ১৩টি গ্রেনেড। মৃত্যুর জাল ছিন্ন করে প্রাণে বেঁচে যান শেখ হাসিনা। তার পরও শেখ হাসিনার গাড়ি লক্ষ্য করে ১২টি গুলি ছুড়ে দুর্বৃত্তরা। নারকীয় ওই হামলায় রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার রেজিয়া বেগম সহ ২২জন প্রাণ হারান। আহত হন কয়েকশত নেতাকর্মী। কাউনিয়া উপজেলার গঙ্গানারায় গ্রামের আফাজ উদ্দিনের মেয়ে রেজিনা বেগম ১৯৯০ সালে কাজের সন্ধানে ঢাকা পাড়ি জমান। সেখানে আগারগাঁয়ের এক বস্তিতে থেকে ঢাকার উন্ডিযান ভিসা অফিসে ছবি লাগানোর কাজ করেন তিনি । ভাড়া থাকেন একই এলাকায়। সেখানে মহিলা আওয়ামীলীগের নেত্রী আয়শা মোকারমের সাথে তার পরিচয় হয়। তিনিও আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন।

সমাবেশ স্থলের উদ্দেশ্যে আয়শার নেতৃত্বে একটি মিছিল বের হয়। সেই মিছিলে রেজিনাও ছিলেন । তিনি সেই গ্রেনেড হামলায় নিহত হন। পরের দিন ছোট ছেলে মোস্তুল্লা (নুরনবী) লাশ সনাক্ত করেন। পরে আজিমপুর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। একই সালে আওয়ামীগের পক্ষ থেকে নিহতের পরিবারের জন্য দেয়া হয় ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা। এর পর ২০১৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর দেয়া হয় ৮ লাখ টাকা। এখন তাদের কোন অভাব নেই। তাদের চাওয়া শুই মায়ের বিচার।

রেজিয়ার বড় বোন আনোয়ারা বেগম বলেন, প্রতি বছর ২১ আগষ্টের ঘটনাগুলো টেলিভিশনের দেখি আর কাঁন্দি। বাড়িতে বসে শাড়ির আঁচলে দিয়ে বারবার বোনের ছবি মুছি। এখন ভালো বিচার চাই।

ছোট ছেলে মোস্তুল্লা জানান, তারা পুরো পরিবার প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতঞ্জ। এখন শুধুই বিচার চান । তিনি এ সরকারের আমলেই বিচার দাবী করে বলেন, বিচার হলেই তার মায়ের আতœা শান্তি পাবে।

বড় ছেলে হারুন অর রশিদ আপেক্ষপ করে বলেন, ৪০ বছর পরে হলেও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার বিচার হয়েছে। তার বিশ্বাস তার মায়ের হত্যার বিচারও পাবেন।

৫ নং বালা পাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আনছার আলী জানান, রেজিয়ার পরিবারের প্রতি নিমিত খোঁজ খবর রাখা হয়। তার পরিবার যাতে সরকারি সকল সুযোগ সুবিধা পায় সে চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

মন্তব্য করুন


 

Link copied