মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) রংপুরের জেলা ও দায়রা জজ হুমসায়ুন কবীর জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় দেওয়া হয়।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১৮ জুলাই রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার রুপসী গাছুয়া গ্রামে আমজাদ হোসেনের ছেলে ইলিয়াছ আলী রাত সাড়ে ১০টার দিকে ছোট স্ত্রী মকসুদা বেগমকে শুয়ে থাকা অবস্থায় কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনা দেখে তার বড় স্ত্রী মোমেনা বেগম আত্মচিৎকার করে বাড়ির বাইরে বের হয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্বামী ইলিয়াছ তাকেও কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।
এ ঘটনায় গ্রামবাসী ঘাতক ইলিয়াছকে আটক করে মিঠাপুকুর থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে ইলিয়াছকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। পুলিশ দুই গৃহবধূ মাকসুদা ও মোমেনার লাশ উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় মিঠাপুকুর থানার এসআই নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে মিঠাপুকুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা এসআই এরশাদ আলী ২০১৪ সালের ১৮ ডিসেম্বর আসামি ইলিয়াছ আলীর নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।
রায় ঘোষণার সময় বিচারক বলেন, আসামি ইলিয়াছ আলী রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্য গ্রহণের সময় আদালতে নিজের দোষ স্বীকার করেছিল। কিন্তু আদালত তার এ বিষয়টি যুক্তিযুক্ত মনে করেনি। ফলে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করে।
মামলায় ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ ও জেরা শেষে আসামি ইলিয়াছকে কার্যবিধি আইনের ৩৪২ ধারায় জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে।
সরকার পক্ষে মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবী পিপি আব্দুল মালেক অ্যাডভোকেট জানান, দুই স্ত্রীকে কুড়াল দিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করার মতো ঘৃন্য অপারাধের জন্য মৃতুদণ্ড দেওয়ার যে রায় দেওয়া হয়েছে তাতে তারা সন্তুষ্ট।
অন্যদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী আমজাদ হোসেন অ্যাডভোকেট জানান, এ রায় যথাযথভাবে হয়নি। তারা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।