রংপুরের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক নরেশ চন্দ্র সরকারের আদালতে রোববার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরুরু মধ্য দিয়ে এ বিচার শুরু হলো।
মামলার বাদী নিহত রহমত আলীর বড় ছেলে শফিকুল ইসলাম আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। আগামী ৬ সেপ্টেম্বর পরবর্তী সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেছেন আদালত।
কড়া পুলিশি নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে এ মামলার আসামি ৯ জঙ্গিকে রংপুর আদালতে আনা হয়। তারা হলো- জঙ্গি মাসুদ রানা, এছাহাক আলী, লিটন মিয়া, আবু সাঈদ, সাখাওয়াত হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজিব, সাদাত ওরফে রতন সরোয়ার, হোসেন ওরফে সাবু ও তৌফিকুল ইসলাম।
বিশেষ জজ আদালতের পিপি রথিশ চন্দ্র ভৌমিক বাবু সোনা জানান, মামলার বাদী আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে বলেছেন, তার বাবা রহমত আলী তরিকত ও পীরে বিশ্বাসী ছিলেন বলেই জেএমবির জঙ্গিরা তাকে হত্যা করেছে। এই মামলায় ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগ গঠন করা হয়। ২০১৫ সালের ১০ নভেম্বর জামায়াতুল মুজাহিদ বাংলাদেশ (জেএমবি)’র সদস্যরা মাজারের খাদেম রহমত আলীকে গলা কেটে ও কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে কাউনিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
তিনি জানান, এই মামলার ৪ আসামি জাপানি নাগরিক হোসি কোনিও হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হয়ে কারাগারে রয়েছে। মামলায় ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।
এর আগে গত বছরের ৩ জুলাই আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করা হয়। এদের মধ্যে জঙ্গি বাইক হাসান ও সাদ্দাম হোসেন পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। বাকি ১২ জনের মধ্যে ৯ জঙ্গি গ্রেফতারের পর থেকে কারাগারে আছে। এছাড়া তিন জঙ্গি এখনও পলাতক। এরা হলো চান্দু মিয়া, রাজিবুল ইসলাম ওরফে বাদল ও বাবুল আখতার।
সাক্ষী শফিকুল ইসলাম আদালতে তার জবানবন্দিতে বলেন, ২০১৫ সালের ১০ নভেম্বর রাতে তার বাবা কাউনিয়া উপজেলার টেপামধুপুর বাজারে ওষুধের দোকান বন্ধ করে বাসায় ফেরার পথে জঙ্গিরা তার পথ রোধ করে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে। তার দাদা একজন পীর ছিলেন। তাদের বাড়িতে দরবার শরিফ ছিল।