এর আগে গত ২৭ আগস্ট মামলার বাদী নিহত রহমত আলীর বড় ছেলে শফিকুল ইসলাম সাক্ষ্য দেন।
বিশেষ জজ আদালতের বিশেষ পিপি অ্যাড রথিশ চন্দ্র ভৌমিক বাবুসোনা জানান, বুধবার যারা সাক্ষী দিয়েছেন তারা হলেন- নিহত রহমত আলীর ভাতিজা অ্যাডভোকেট ফেরদৌস ইসলাম, নিহতের স্ত্রী রওশন আরা বেগম, প্রতিবেশী আব্দুল হক, সাজেদা বেগম ও আব্দুল জলিল। আগামী সাক্ষীর দিন ধার্য করা হয়েছে ১১, ১২ ও ১৩ সেপ্টেম্বর। এই মামলায় মোট ১৮ জন সাক্ষী রয়েছেন।
এর আগে সকালে পুলিশি কড়া নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ৯ জেএমবি সদস্যকে রংপুর আদালতে আনা হয়। এরা হলেন- মাসুদ রানা, এছাহাক আলী, লিটন মিয়া, আবু সাঈদ, সাখাওয়াত হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজিব, সাদাত ওরফে রতন সরোয়ার, হোসেন ওরফে সাবু ও তৌফিকুল ইসলাম।
গত বছরের ৩ জুলাই আদালতে ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এদের মধ্যে জঙ্গি বাইক হাসান ও সাদ্দাম হোসেন পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। বাকি ১২ জনের মধ্যে ৯ জন গ্রেফতারের পর থেকে কারাগারে আছেন। বাকি তিনজন চান্দু মিয়া, রাজিবুল ইসলাম ওরফে বাদল ও বাবুল আখতার এখনও পলাতক রয়েছেন।
২০১৫ সালের ১০ নভেম্বর জামায়াতুল মুজাহিদ বাংলাদেশ(জেএমবি)’র সদস্যরা খাদেম রহমত আলীকে হত্যা গলাকেটে ও কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে কাউনিয়া থানায় একটি মামলা করেন।