প্রত্যক্ষদর্শী ও গ্রামবাসী জানায়, প্রায় আড়াই বছর পূর্বে মিল্কী গ্রামের সাহিদুল ইসলামের কন্যা শাহাজাদী বেগমের সঙ্গে পাশ্ববর্তী ছোট পলাশবাড়ি গ্রামের আলম মিয়ার পুত্র মিলন মিয়ার পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে উভয় পরিবারের লোকজন ঢাকায় গার্মেন্টস্ শ্রমিকের কাজ করত। বছর দেড়েক পার হতে না হতেই উভয় পরিবারের মধ্যে মন-মালিন্যের সৃষ্টি হয়।
মন-মালিন্যের এক পর্যায়ে ৪ মাস পূর্বে ঢাকায় শাহাজাদীর বাবা সাহিদুল ইসলামকে বিয়াই আলম মিয়া বাসায় ডেকে নিয়ে গিয়ে শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করে। এরই সূত্র ধরে বুধবার দুপুরে আলম মিয়া বাড়ি থেকে ভেন্ডাবাড়ী হাটের উদ্দেশ্যে রওনা দিলে পথিমধ্যে মিল্কী দোকান পাড় হতে বিয়াই সাহিদুল ও বিয়াইনী শেফালী বেগম তাকে বলপূর্বক ধরে নিয়ে গিয়ে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মেরে বেঁধে রাখে।
এক পর্যায়ে আলম মিয়ার লোকজন সংবাদ পেয়ে বিষয়টি মিমাংসার জন্য কুমেদপুর ইউপি সদস্য বাবু মিয়া ও সাজু মিয়াকে ঘটনাস্থলে পাঠায়। ওই ইউপি সদস্যরা ভেন্ডাবাড়ী ইউপি সদস্য শাহজাহান মন্ডল সাজু, আমিরুল ইসলাম মানিক, রেজাউল করিম ও রাশেদকে সাথে নিয়ে সন্ধ্যায় বিয়াই সাহিদুলের আঙ্গিনায় মিমাংসা বৈঠকে বসে। বৈঠকে গুরুতর অসুস্থ্য অবস্থায় আলম মিয়াকে চেয়ারে বসতে দিলে সে চেয়ার থেকে টলে পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারায়। পরে তড়িঘড়ি করে চিকিৎসার জন্য ভেন্ডাবাড়ী হাটে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে।