আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪ ● ১৪ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে হবে কুড়িগ্রাম

আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে হবে কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রামে ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল আলোর মুখ দেখতে বসেছে

কুড়িগ্রামে ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল আলোর মুখ দেখতে বসেছে

 width=
 
শিরোনাম: রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা       ২৯ রমজান কি অফিস খোলা?       আজ ঐতিহাসিক রংপুর ক্যান্টনমেন্ট ঘেরাও দিবস       লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ হস্তান্তর       কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি      

 width=
 

রোহিঙ্গা হত্যাযজ্ঞে এবারও মাঠে ‘নাইন সিক্স নাইন’

শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭, সকাল ০৯:৩৩

সূত্রগুলো বলছে, নিরীহ মুসলিম রোহিঙ্গাদের নির্যাতন, হত্যা এবং তাদের বাংলাদেশে ঠেলে দিতে ২০১৪ সালে ‘নাইন সিক্স নাইন’ নামে ওই সশস্ত্র সন্ত্রাসীগোষ্ঠী গড়ে তোলে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। এই সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর সদস্যদের সবাই বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও পুলিশ তাদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়ার পাশাপাশি প্রশিক্ষণও দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে লক্ষ্য একটাই মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যের মুসলিম সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের লোকজনকে বিতারিত করে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া।

রোহিঙ্গা মুসলমানদের নিজভূমি থেকে বিতাড়িত করতে ৪ বছর ধরেই রাতের আঁধারে রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়ন চালিয়ে আসছে ‘নাইন সিক্স নাইন’। গত ২৫ আগস্ট থেকে এই সস্ত্রাসীগোষ্ঠী প্রকাশ্যে রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়িতে আগুন এবং হত্যাযজ্ঞ শুরু করে। আর এ কাজে মিয়ানমার সেনাবাহিনী তাদের অস্ত্র ও অর্থ দিচ্ছে; দিচ্ছে প্রশিক্ষণও। সাম্প্রতিক সময়ে এই সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর সদস্য সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে বলে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন।

শাহপরীর দ্বীপে আশ্রয় নেওয়া একাধিক রোহিঙ্গা আমাদের সময়কে বলেছেন, সেনাবাহিনী ও পুলিশের সহায়তায় সন্ত্রাসীরা গ্রামকে গ্রাম জ্বালিয়ে দিচ্ছে। এলোপাতাড়ি গুলিও চালাচ্ছে। এরাই কয়েক বছর ধরে রোহিঙ্গাদের ওপর রাতের আঁধারে হামলা এবং হুমকি দিয়ে রোহিঙ্গাদের পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়ার কাজ করে আসছিল। সম্প্রতি এই সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর সদস্যরা হিংস্ররূপে আবির্ভূত হয়েছে।

সূত্র জানায়, দলে-দলে রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়ার পরিকল্পনা অনুযায়ীই মিয়ানমার সরকার ২০১৪ সালে ‘নাইন সিক্স নাইন’ গঠন করে তাদের হাতে অস্ত্র তুলে দেয়। গোপনে প্রশিক্ষণও দেয়। এই সশস্ত্রগোষ্ঠীকে বাংলাদেশবিরোধী নানা তৎপরতায়ও কাজে লাগানো হয়। নাইন সিক্স নাইন সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর পাশাপাশি বান্দরবান সীমান্তে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ম্রো ন্যাশনাল পার্টির (এমএনপি) সদস্যদেরও সশস্ত্র প্রশিক্ষণ দেয় বলে গোয়েন্দা সূত্র জানায়।

সম্প্রতি মিয়ানমার সরকারের আমন্ত্রণে সাংবাদিকদের একটি দল রাখাইন রাজ্যে উদ্ভূত পরিস্থিতি দেখতে যায়। সেই দলে ছিলেন বিবিসির দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রতিনিধি জনাথন হেড। সাংবাদিকদের এই দলে অংশগ্রহণের শর্ত ছিল, সবাইকে একসঙ্গে থাকতে হবে। স্বাধীনভাবে কোথাও চলাফেরা করা যাবে না। সরকারের নির্ধারণ করে দেওয়া জায়গাগুলোতেই শুধু তাদের নিয়ে যাওয়া হবে। সেটাই করা হয়েছে।

জনাথন হেড রাখাইন রাজ্যের উদ্ভূত পরিস্থিতি দেখে এসে একটি প্রতিবেদন লিখেন, যেখানে তিনি উল্লেখ করেন একটি রোহিঙ্গা গ্রাম পুড়ে যেতে দেখেছেন তিনি। রাখাইনের মংগদু জেলায় আল লে থান কিয়া শহর পরিদর্শন শেষে ফিরে আসার সময় কিছু পুড়িয়ে দেওয়া বাড়িঘর তার নজরে আসে। তখনো সেখান থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছিল।

জনাথন বলেন, ‘সেখানে থাকতেই আমরা স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রের গুলির শব্দ শুনতে পাই। অন্তত তিনটি স্থান থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখি।’জনাথন হেডের বর্ণনায়, ‘আগুনে পোড়া একটি গ্রামে যখন হাঁটছিলাম তখন তরুণদের একটি দল চোখে পড়ে। তাদের হাতে দিয়াশলাই ও তলোয়ার ছিল। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলতে চেষ্টা করলেও তারা রাজি হয়নি। তাদের ছবিও তুলতে দেয়নি। আমাদের মিয়ানমারের সহকর্মীরা তাদের সঙ্গে কথা বলেন। তরুণদের একজন স্বীকার করে, সে রোহিঙ্গাদের বাড়িঘরে আগুন দিয়েছে। এ জন্য সে পুলিশের কাছ থেকে সহযোগিতা পেয়েছে।’

মন্তব্য করুন


 

Link copied