আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪ ● ১৪ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে হবে কুড়িগ্রাম

আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে হবে কুড়িগ্রাম

 width=
 
শিরোনাম: কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা       ২৯ রমজান কি অফিস খোলা?       আজ ঐতিহাসিক রংপুর ক্যান্টনমেন্ট ঘেরাও দিবস       লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ হস্তান্তর      

 width=
 

ফলো আপ-টাকার জন্য দুই বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে নানাকে হত্যা॥ গ্রেফতার ৩

মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭, রাত ০৮:২২

টাকার জন্য দুই বন্ধুর সহায়তায় নীলফামারীর ডোমার উপজেলার বোড়াগাড়ি ইউনিয়নের নয়ানী বাগডোকরা মাস্টারপাড়া গ্রামে অতুল চন্দ্র রায় (৬৫) হত্যা করে নাতী। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় পুলিশ নিহতের নাতিসহ তিন কিশোরকে গ্রেফতার করেছে। আজ মঙ্গলবার সকালে তাদেকে আটক করে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য বিকেলে আদালতে সোপর্দ্দ করে। গ্রেফতার হওয়া ওই তিন কিশোর হলো নিহত অতুল চন্দ্র রায়ের নাতি (মেয়ের ছেলে) একই গ্রামের প্রেমানন্দ রায়ের ছেলে সুমন চন্দ্র রায় (১৬), তার অপর দুই বন্ধু একই ইউনিয়নের পশ্চিম বোড়াগাড়ি কাউয়াতলী গ্রামের সকাল চন্দ্র রায়ের ছেলে প্রকাশ চন্দ্র রায় (১৭) ও রফিকুল ইসলামের ছেলে মো. নিশান (১৭)। তারা তিনজনই ডোমার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণীর ছাত্র বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নিজ বাড়িতে হত্যার শিকার হন অতুল চন্দ্র রায়। এঘটনায় নিহতের স্ত্রী দেবমায়া রাণী রায় (৫৫) বাদী হয়ে ওই দিন (বৃহস্পতিবার ৭ সেপ্টেম্বর) রাতে ডোমার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে। পুলিশ জানায়, সুমনের নানা অতুল চন্দ্র রায়ের কাছে টাকা ছিল সেটি জানতো তাঁর নাতি। ওই টাকা নেয়ার জন্য দুই বন্ধুর সঙ্গে পরামর্শ করে সুমন। গত ৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে সুমনের মামীকে আনতে ডালিয়ায় যায় তার নানী। ওই তিন বন্ধু পরামর্শ অনুযায়ী দাদুর একা বাড়িতে থাকার সুযোগে সুমন দুই বন্ধুকে দাদুর ঘরে রক্ষিত টাকা আনতে বাড়িতে ঢুকিয়ে দেয়। তারা ঘরে রাখা ৩২ হাজার টাকা নিয়ে আসার সময় দাদু অতুল টের পেলে দুই বন্ধু মিলে দাদুকে পিছন দিকে হাত বেধে নাকে মুখে টেপ আটকিয়ে দিয়ে সটকে পরে। এ অবস্থায় অতুল চন্দ্র শ্বাসরোধে মারা যান। পরে সুমন বাড়িতে ঢুকে দেখে তার দাদু মারা গেছেন। পরে সে স্থানীয়দের কাছে বিষয়টি ঢাকার অভিনয় করে। পুলিশ আজ মঙ্গলবার ভোরে প্রথমে নিশানকে আটক করে তার কাছে থাকা আট হাজার টাকা উদ্ধার করে। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সুমন ও প্রকাশকে আটক করে। প্রকাশের কাছ থাকা ১৭ হাজার পাঁচশ টাকা (সুমনের ভাগসহ) উদ্ধার করে। ডোমার থানার উপ পরিদর্শক আরমান আলী এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তাদের কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া ৩২ হাজার টাকার মধ্যে ২৫ হাজার পাঁচশ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে, বাকী টাকা তারা খরচ করে ফেলেছে বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য মঙ্গলবার বিকেলে তিনজনকেই আদালতে সোপর্দ্দ করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানায়, নিহত অতুল চন্দ্র রায়ের ছেলে বিপুল চন্দ্র রায় (৩৫) দক্ষিণ কোরিয়ায় থাকেন। ওই বাড়িতে বিপুলের বাবা, মা ও স্ত্রী বসবাস করেন। ঘটনার দিন (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিপুলের মা দেবমায়া রাণী রায় বিপুলের স্ত্রীকে তার বাবার বাড়ি থেকে আনতে ডিমলা উপজেলার ডালিয়া যায়। এসময় অতুল চন্দ্র রায় একাই বাড়িতে অবস্থান করার সুযোগে দূর্বৃত্তরা বাড়িতে ঢুকে অতুল চন্দ্র রায়ের হাত পা বেধে নাকে ও মুখে টেপ আটকিয়ে দিয়ে বাড়িতে গচ্ছিত থাকা ৩২ হাজার টাকা নিয়ে যায়। অতুল চন্দ্র রায় শ্বাসরোধ হয়ে মারা গেলে বিকেল পাঁচটার দিকে এলাকায় বিষয়টি জানাজানি হয়। খবর পেয়ে রাত আটটার দিকে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। উত্তরবাংলাডটকমে প্রকাশিত সংবাদের লিঙ্কটি নিচে দেয়া হলো ডোমারে গৃহকর্তাকে বেধে বাড়ি থেকে টাকা ছিনতাই॥শ্বাসরোধে গৃহকর্তার মৃত্যু

মন্তব্য করুন


 

Link copied