সোমবার সকালে উপজেলা সদরের পৌর এলাকার ইসলামী ব্যাংক সংলগ্ন একটি ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
আরিফুল ইসলাম সে শেরনগর সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার ৭ম শ্রেনীর ছাত্র। শনিবার সন্ধায় সে নিখোঁজ হয়।
নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, আরিফুল ইসলাম নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় সন্দেহভাজন চার জনকে রোববার সন্ধ্যায় আটক করা হলেও ঘুষ গ্রহণ করে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
স্থানীয়রা জানায়, এ ঘটনায় সোমবার সকালে স্থানীয়রা বেলকুচি থানার সামনে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। পরে বেলকুচি থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন ওই চার জনকে গ্রেফতারে আশ্বাস দিলে বিক্ষোভকারীরা অবরোধ তুলে নেন। পরে অবশ্য দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বেলকুচি ক্ষিদ্রমাটিয়া গ্রামের বাসিন্দা নিহতের বাবা শহিদ কসাই জানান, শনিবার সকালে গ্যাস সিলিন্ডার কেনার জন্য তার ছেলে আরিফকে তিন হাজার টাকা দিয়ে বাজারে পাঠানো হয়। যাবার পথে মুকুন্দগাঁতী বাজারের জামালের ছেলে সাব্বির ও তার সহযোগীরা টাকাসহ তার মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। পরে সন্ধ্যায় এ ঘটনা এলাকার মুরুব্বী ও সাব্বিরের বাবাকে জানানো হয়।
তিনি আরও জানান, ওইদিন সন্ধায় আরিফুল তার মার কাছ থেকে ৫’শ টাকা নিয়ে বাজারে স্যান্ডেল কিনতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। রোববার বিকেল পর্যন্ত আরিফকে খুঁজে না পাওয়ায় বিষয়টি বেলকুচি থানা পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ সন্ধ্যায় মুকুন্দগাঁতী গ্রামের সাব্বিরের বাবা জামাল হোসেন, চালা গ্রামের ইউসুফ ও সুবর্নসাড়া গ্রামের আলী হাসানসহ চারজনকে আটক করে। রাতে পুলিশ টাকা খেয়ে চারজনকে ছেড়ে দেয়।
শহিদ কসাইয়ের ধারণা টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করায় সাব্বির ও তার সহযোগীরা আরিফুলকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পেটে ইট বেঁধে ডোবার মধ্যে ফেলে দেয়।
বেলকুচি থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন ঘুষ নিয়ে আসামি ছেড়ে দেবার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, চার জনকে যখন আটক করা হয় তখন কোনো ক্লু পাওয়া যায়নি। সেজন্য তাদের রোববার রাতে স্থানীয় মেম্বরের জিম্বায় মুচলেকায় ছেড়ে দেয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, সোমবার লাশ উদ্ধারের পর ফের দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার মুল সন্দেহকারী সাব্বির ও তার বাবা জামাল হোসেনকে এখনও খুঁজে পায়নি পুলিশ।
ওসি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি আরিফুলকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ ডোবায় ফেলে দেয়া হয়। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য দুপুরে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছি।
সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ শাহিনুল আলম খান এ প্রসঙ্গে বলেন, বেলকুচি থানার ওসি বিষয়টি আমাকে জানিয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে চেষ্টা করা হচ্ছে।