আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

ট্রাম্প এগিয়ে এলেন শেখ হাসিনার কাছে! (ভিডিও)

মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭, সকাল ০৯:১৪

রাষ্ট্রনেতারা এ সময় ট্রাম্পের সঙ্গে করমর্দন এবং কথা বলার জন্য সামনে এগিয়ে যান। তাদের সঙ্গে হাই হ্যালো বলেই সামনে এগোতে থাকেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২/৪ জনের ভিড়ের পেছনেই তার সিটের কাছে দাঁড়িয়ে ছিলেন শেখ হাসিনা।

এবার ডোনাল্ড ট্রাম্প একজনের এগিয়ে দেয়া করমর্দনের হাত বলা চলে প্রায় উপেক্ষা করেই, সামনে দাঁড়ান শেখ হাসিনার। কুশল বিনিময় করেন শেখ হাসিনা এবং ট্রাম্প দু'জনই। কি কথা হয়েছে তাদের মাঝে সেটি স্পষ্ট শোনা যায়নি টিভিতে প্রচারিত ফুটেজে। তবে, শেখ হাসিনা তার সঙ্গে কথা বলার সময় হাত নেড়ে, উচিয়ে কোনো শঙ্কা এবং দুঃশ্চিন্তার কথা জানাচ্ছিলেন বলে প্রতীয়মান হয়েছে। ডোনাল্ট ট্রাম্পও বেশ কিছুক্ষণ প্রায় ৩০-৫০ সেকেন্ড তার সঙ্গে কথা বলেন, এবং পরবর্তীতে এ নিয়ে আরো কথা বলবেন বলে হাতের ইশারায় বুঝিয়ে দেন। এটি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম সাক্ষাৎ। ২০১৬ সালের নির্বাচনে জয়ের পর, মুসলিম বিশ্বের প্রথম নেতা হিসেবে শেখ হাসিনাই প্রথমে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে স্বাগত জানিয়ে চিঠি লেখেন। বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। একজন মুসলিম বিদ্বেষী আমেরিকার রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে তার উত্থানে সমগ্র মুসলিম বিশ্বেই তখন দ্বিধা এবং সঙ্কোচ। সেটিকে পাশ কাটিয়ে শেখ হাসিনা ট্রাম্পকে চিঠি লেখেন এবং অভিনন্দন জানান। সেটি তখন ব্রিটেনের ইংরেজি দৈনিক দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্টসহ অনেক পশ্চিমা পত্রিকার শিরোনাম হয়েছিল। এবারে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে শেখ হাসিনার দ্বিপাক্ষিক বা সাইড লাইনে কোনো বৈঠকের সূচি নির্ধারিত আছে কিনা এখনও পর্যন্ত পরিষ্কার নয় অথবা নিশ্চিত নয়। তবে, এই যে সৌজন্য সাক্ষাৎ হলো সেখানে ট্রাম্পের সঙেবগ আলোচার ইস্যু উত্থাপন করেছেন বলে আন্দাজ করছেন অনেকেই। বিশেষত, বাংলাদেশের দক্ষিন পূর্বাঞ্চলের এলাকাগুলোতে, মিয়ানমারের জাতিগত বৈষম্যের শিকার রোহিঙ্গা মুসিলমদের প্রায় নতুন ৪ লক্ষাধিক মানুষ আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশ সীমান্তে। ঐ সব উদ্বাস্তু এবং রোহিঙ্গা সমস্যা এরই মধ্যে সিএনএন সহ যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক গণমাধ্যমে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে আলোচিত হচ্ছে। প্রতিদিন সংবাদদাতারা সংবাদ পাঠাচ্ছেন এবং রোহিঙ্গাদের মানবিক দুর্দশা তুলে ধরার সঙ্গে সঙ্গে তারা নাম নিচ্ছেন বাংলাদেশের। যেভাবে বাংলাদেশ তাদের আশ্রয় দিয়েছে সেটি বিশ্ব গণমাধ্যমে ইতিবাচক ভাবেই আলোচিত হচ্ছে। এমন প্রেক্ষিতে, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান এবং তাদেরকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘে দেয়া তার ভাষণে বিশ্ব নেতাদের এবং জাতিসংঘের শক্ত পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করবেন। ট্রাম্পের সঙ্গে এই স্বল্প সময়ের সাক্ষাতে সেই বিষয়টির একটু আলোচনা হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছেন কেউ কেউ। জাতিসংঘের ৭২তম অধিবেশনের বিশ্বনেতারা সমবেত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দফতরে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথমবারের মত এই অধিবেশনের বিতর্কে অংশ নিতে স্থানীয় সময় সকালে নিউইয়র্কে পৌঁছান। পৌঁছানোর পর তিনি এক সৌজন্য সাক্ষাত করেন বিশ্বের ১৯৩টি দেশ থেকে আসা রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে। জাতিসংঘ বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের প্রেস উইং সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২১ সেপ্টেম্বর সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বাংলায় ভাষণ দেবেন। প্রধানমন্ত্রী এ অধিবেশনে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানে বাংলাদেশের প্রস্তাব বিশ্বনেতাদের সামনে তুলে ধরবেন। শেখ হাসিনাই বাংলাদেশের একমাত্র সরকার প্রধান, যিনি পর পর ৯ বার সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার নজির স্থাপন করতে যাচ্ছেন। স্থানীয় সময় সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আয়োজিত ‘জাতিসংঘ সংস্কার’ বিষয়ক এবং জাতিসংঘ সদর দফতার ‘প্রিভেনশন অব সেক্সুয়াল এক্সপ্লয়টেশন অ্যান্ড অ্যাবিউজ’ শীর্ষক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই দিন ‘গ্লোবাল ডিল ফর ডিসেন্ট ওয়ার্ক অ্যান্ড ইনক্লুসিভ ‘গ্রোথ’ বিষয়ক এক ফলোআপ বৈঠকেও প্রধানমন্ত্রীর অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। ১৯ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সম্মানে জাতিসংঘ মহাসচিবের দেওয়া মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেবেন শেখ হাসিনা। একই দিনে তিনি জাতিসংঘ মহাসচিবের সভাপতিত্বে ‘উইমেন্স ইকোনমিক এমপাওয়ারমেন্ট ফর লিভিং নো ওয়ান বিহাইন্ড’ শীর্ষক একটি উচ্চপর্যায়ের প্যানেল আলোচনায় অংশ নেবেন এবং রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে ওআইসি কনট্যাক্ট গ্রুপের বৈঠকে যোগ দেবেন। সন্ধ্যায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে ও কমনওয়েলথের বর্তমান চেয়ার-ইন অফিস মাল্টার প্রধানমন্ত্রী জোসেফ মাসকেট আয়োজিত কমনওয়েলথভুক্ত রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন শেখ হাসিনা। পরে ম্যাডিসন অ্যাভিনিউয়ের প্যালেস হোটেলে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন তিনি। ২০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সদর দফতরে পরমাণু অস্ত্রনিরোধ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন শেখ হাসিনা। ‘এসডিজি ইমপ্লিমেন্টেশন, ফাইন্যান্সিং অ্যান্ড মনিটরিং: শেয়ারিং ইনোভেশনস থ্রু সাউথ-সাউথ অ্যান্ড ট্রাইয়াঙ্গ্লুার কো-অপারেশন’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানেও যোগ দেবেন। ইউএনডিপি ও ইউএন অফিসের সঙ্গে যৌথভাবে বাংলাদেশ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। একই দিনে ‘ক্রিয়েটিং এ পলিসি ভিশন ফর এসডিজি ফাইন্যান্স: ফ্যাসিলিটেটিং প্রাইভেট সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট ইন দ্য এসডিজি’স শীর্ষক উচ্চপর্যায়ের অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী। পরে বিজনেস কাউন্সিল ফর ইন্টারন্যাশনাল আন্ডারস্ট্যান্ডিং (বিসিআইইউ) আয়োজিত একটি মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন নিয়ে ইথিওপিয়ার প্রতিনিধিদল আয়োজিত একটি উচ্চপর্যায়ের উন্মুক্ত আলোচনাতেও এদিন যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। উল্লেখ্য, এবারের অধিবেশনে অংশগ্রহণ করতে মিয়ানমারের প্রধানমন্ত্রী অং সান সু চি অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

মন্তব্য করুন


 

Link copied