আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪ ● ১৪ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে হবে কুড়িগ্রাম

আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে হবে কুড়িগ্রাম

 width=
 
শিরোনাম: কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা       ২৯ রমজান কি অফিস খোলা?       আজ ঐতিহাসিক রংপুর ক্যান্টনমেন্ট ঘেরাও দিবস       লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ হস্তান্তর      

 width=
 

সেলুনে গিয়ে ঘাড়ের মাসাজ করলে কি হতে পারে জানেন?

বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭, রাত ১২:২৩

 কটাত...ঠিক এমনই আওয়াজ হয়েছিল। প্রতিবার ঠিক একই স্টাইলে ঘাড়টা হঠাৎ করে বাঁদিকে ঘুরিয়ে এক অাজব দেশীয় স্টাইলে মাসাজ শেষ করে রাজা। এবারও তার অন্যথা হল না। বেশ হালকা লাগছিল মাসুদের। গত এক সপ্তাহ নানা কারণে বেশ মানসিক চাপের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে তাকে। কিন্তু আজ রাজার হাতে মাসাজ নেওয়ার পর সব ক্লান্তি এবং দুঃচিন্তা যেন নিমেষে চলে গেছে। কিন্তু একি...! শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে কেন! হঠাৎই শ্বাসকষ্ট মারাত্মক বেড়ে যাওয়ার কারণে রাজাই অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে মাসুদকে হাসাপাতালে ভর্তি করেছে। কিন্তু হঠাৎ বছর ৫৪-এর মাসুদ রহমানের হল কী! শ্বাস কষ্টই বা কেন শুরু হল এমনভাবে? চুল কাটার আগে তো ঠিকই ছিল মানুষটা!হাসপাতালে ভর্তি করার পর রুটিন মাফিক বেশ কয়েকটা পরীক্ষা করা হয়েছিল মাসুদের। তাতে যা জানা গিয়েছিল, তা বাস্তবিকই অবাক করার মতো! আসলে হেড মাসাজ নিতে গিয়ে তার ঘারের অন্দরে থাকা ফেরানিক নার্ভ মারাত্মক ভাবে চোট পেয়েছিল। যে কারণে শ্বাস কষ্ট শুরু হয়েছিল। কয়েক দিন টানা চিকিৎসা চলার পরেও মাসুদের শরীরিক অবস্থার যখন উন্নতি হল না, তখন চিকিৎসকেরা কোনও উপায় না পেয়ে মেকানিকাল ভেন্টিলেশনের সাহায্য নিতে বাধ্য হয়েছিল। এখন মাসুদ রহমানের কি অবস্থা জানা নেই। কিন্তু এই ঘটনাটা কিন্তু খুব চিন্তার বিষয়। কারণ চুল কাটার পর মাসাজ নেওয়ার অভ্যাস অনেকেরই রয়েছে এবং সেই সংখ্যাটা নেহাতই কম নয়। একটি পরিসংখ্য়ান অনুযায়ী সেলুনে গিয়ে ১০-২০ টাকা খরচ করে অশিক্ষিত নাপিতের কাছ থেকে বডি মাসাজ নেওয়ার প্রবণতা আমাদের দেশের প্রায় ৬০ শতাংশ লোকেরই রয়েছে। তাই তো পরিস্থিতিটা যে দিনে দিনে ভয়ানক রূপ নিচ্ছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। মাসাজ থেকে কেমন ধরনের ক্ষতি হতে পারে শরীরের? চিকিৎসকদের মতে যে পদ্ধতিতে নাপিতেরা ঘার এবং পিঠের মাসাজ করে থাকেন, তা একেবারেই বৈজ্ঞানিক নয়। ফলে শরীরে এই অংশে থাকা একাদিক নার্ভ আঘাত পেয়ে যে কোনও সময় মারাত্নক কিছু ঘটে যেতে পারে। এমনকি ভাগ্য খারাপ থাকলে পঙ্গুও হয়ে থেতে পারে কেউ। তাই এই বিষয়ে সাবধান থাকাটা একান্ত প্রয়োজন। আর কোনও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে কি? আমাদের ঘাড়ের চারিপাশ দিয়ে আটটা নার্ভের ব্রাঞ্চ গেছে, যেগুলি স্পাইনাল কর্ডের সঙ্গে শরীরের বাকি অংশের যোগাযোগ রক্ষা করে থাকে। ঘারের মাসাজ নিতে গিয়ে এর কোনওটা যদি আঘাত পায় তাহলেই বিপদ। সেক্ষেত্রে শরীরের একাধিক কাজ বন্ধ হয়ে গিয়ে জীবনসংশয় পর্যন্ত হতে পারে। তাই মাসাজ নেওয়ার ইচ্ছা হলে প্রশিক্ষিত কারও থেকে নেওয়া উচিত, না হলে নয়। প্রসঙ্গত, সামান্য বেশি টাকা খরচ করে সপ্তাহে বা মাসে একবার যদি সঠিক পদ্ধতিতে মাসাজ নেওয়া যায়, তাহলে কত উপকার মিলতে পারে জানেন? সেক্ষেত্রে... ১. এনার্জির ঘাটতি দূর হয় একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে সঠিক পদ্ধিতিতে মাসাজ করা হলে শরীরের অন্দরে জমতে থাকা ক্লান্তি দূর হয়। সেই সঙ্গে দেহের প্রতিটি কোণায় অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত পৌঁছে গিয়ে সার্বিকভাবে শরীর একেবারে চাঙ্গা হয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে মনোযোগ এবং ব্রেন পাওয়ারও বৃদ্ধি পায়। ২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে মাসাজ নেওয়ার সময় শরীরের অন্দরে শ্বেত রক্ত কণিকার উৎপাদন বেড়ে যায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা র উন্নতি ঘটে। ফলে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। সেই সঙ্গে সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়। ৩. স্ট্রেস এবং অ্যাংজাইটি কমে বেশ কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে বডি মাসাজ করার সময় মস্তিষ্কে কর্টিসল নামক স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ কমে যায়। উল্টে সেরোটনিন নামে যে ফিল গুড হরমন রয়েছে তার উৎপাদন বেড়ে যায়। ফলে স্ট্রেস তো কমেই। তার পাশপাশি মন-মেজাজও একেবারে চাঙ্গা হয়ে ওঠে। ৪. শরীর বিষ মুক্ত হয় ঘামের মাধ্যমে আমাদের শরীরে জমে থাকা টক্সিক বা ক্ষতিকারক উপাদান যত বাইরে বেরিয়ে আসে, তত দেহের কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমে। তাই তো ঘাম হওয়াটা জরুরি। বেশি মাত্রায় হলেও ক্ষতি নেই! আর যেমনটা আপনাদের সকলেরই জানা আছে যে, বিশেষ পদ্ধতিতে মাসাজ করলে মারাত্মক ঘাম হতে থাকে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই টক্সিন বেরিয়ে আসতে শুরু করে। এইভাবে সরাসরি না হলেও পরোক্ষভাবে বডি মাসাজের মাধ্যমে শরীরকে বিষমুক্ত করা সম্ভব।৫. ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায় নিয়মিত মাসাজ করলে ত্বকের উপরিঅংশে জমে থাকা মৃত কোষের স্তর সরে যায়। সেই সঙ্গে ত্বকের অন্দরে রক্ত প্রবাহ এতটা বেড়ে যায় যে ত্বকের হারিয়ে যাওয়া ঔজ্জ্বল্য ফিরে আসে। সেই কারণেই তো বিশেষ কোন অনুষ্টানের আগে মনে করে ফেসিয়াল মাসাজ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন ত্বক বিশেষজ্ঞরা।

মন্তব্য করুন


 

Link copied