আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: রংপুর বিভাগ থেকে ২০ বছরে ২ লাখ ২৭ হাজার কর্মী বিদেশ গেছেন       দিনাজপুরে ছিনতাইকৃত মালামাল উদ্ধারসহ ছিনতাইকারী চক্রের দুই সদস্য গ্রেপ্তার        জমি রেজিস্ট্রি করে না দেয়ায় বাবাকে কবর দিতে ছেলের বাঁধা ॥ পুলিশের হস্তক্ষেপে দাফন       নীলফামারীতে স্বামীর প্রথম বিয়ের খবরে নববধূ দ্বিতীয় স্ত্রীর আত্মহত্যা ॥ স্বামী গ্রেপ্তার       রংপুরবাসীর জন্য সরকারি চাকরি, পদ ১৫৯      

 width=
 

"একলা চলতে শিখতে হয়"

শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৭, দুপুর ১০:৪০

তানভীর হাসান তানু  নির্যাতিত ও অসহায় মানুষের নানা কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক বা অনলাইন নিউজ পোর্টালে বিভিন্ন ভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। অনেকের আমার লেখা গুলো অপছন্দ করেছেন, কেউ বা ভালো বলেছেন। আলোচনা ও সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। কিন্তু আজ কয়েকজনের অনুরোধে আমার এক খুব প্রিয় বন্ধুর মনের কিছু অনুভূতি ও তার জীবনে ঘটে যাওয়া কিছু বাস্তবতা গল্প শোনাবো। শুনুন তাহলে,,,,,,,,। আচ্ছা! আপনাকে কি কেউ কখনো খুব উৎসাহ দিয়ে অনেকদূরের পথে নিয়ে গিয়ে পরে একা ফেলে রেখে চলে এসেছিলো? আপনি হয়ত যেতেই চাইছিলেন না, কিন্তু আপনার সঙ্গীটি আপনাকে অনেক উদ্দীপনা দিয়ে নিয়ে গেলো পথ ধরে। অথচ হঠাৎ একসময় যখন পিছনে ফিরে চাইলেন, দেখলেন যতদূর চোখ যায় আপনি ধূ-ধূ পথের উপর একা! সে আপনাকে ফেলে চলে গেছে! আপনাকে কি কেউ কখনো অনেক ভালোলাগার অনুভূতি দিয়ে তারপর অনেক বেশি কষ্ট দিয়েছিলো? যে কষ্টের পরে মনে হচ্ছিলো আপনার সমস্ত সত্ত্বাটাই ক্ষুদ্র, মিথ্যে, ভুল। আপনি হয়ত মানুষ হবার ন্যুনতম যোগ্যতাটুকুও রাখেন না! অথচ দিব্যি অনেক প্রগাঢ় ঘৃণা ছিটিয়ে দিয়ে সে হারিয়ে গেলো শেষে… ব্যস! এরপর আর কিছু না। এরপরের অনুভূতিগুলো অনেকটা মহাকাশযাত্রার মতন। মহাশূণ্যে যাবার মুভিগুলোতে স্পেসশীপের ভেতর থেকে দূর-দূরান্তের গ্রহ-নক্ষত্রগুলোর দিয়ে তাকিয়ে বুক ভরে যেই শূণ্যতা আসে– কেবল এমন কিছু অনুভূতি। উদাস হয়ে তাকিয়ে থাকা কিছুটা হতবুদ্ধি হয়ে… প্রচন্ড শীতে হিম হয়ে আসা শরীরটার মতন অবশ হয়ে যাওয়া একদল অনুভূতিমালা। তারপর আবার সব অন্যরকম! তাহলে এই কাহিনী বলার কারণ কী? কোনো কারন নেই। স্রেফ বলতে ইচ্ছে হলো, এখনো রাস্তায় হাঁটতে গিয়ে, এখানে সেখানে হঠাৎ মনে পড়ে যায়, কেউ একজন আসবে বলে আসেনি। কেউ একজন আসবে বলে অনেক আয়োজন করেছিলাম, সে কিছু না বলেই হারিয়ে গেছে। তার পুরোনো চিঠিগুলোতে আছে সুন্দর অনেক কবিতা, সুন্দরতম শব্দমালা। তার রেখে যাওয়া স্মৃতিতে আছে মুগ্ধ করা অনেকগুলো মূহুর্ত।অনেক স্পন্দন… আপনাকে যদি কেউ এভাবে উদাস না করে দেয়, ধরে নিন কেউ একজন আছে, যার আসার কথা ছিল কিন্তু আসেনি। অথবা যার একটা চিঠি লিখার কথা ছিল, লিখেনি। দেখুন, বুকের ঠিক মধ্যখানটাতে কেমন একটা দলা পাক লেগে যায়। দলাটা ঠিক কষ্টেরও না, কেমন যেন। কেমন যেন সবাইকে লুকিয়ে একলা রাতে বালিশে মুখ গুঁজে কাঁদতে মন চায়। কেমন যেন হাতের সব কাজ ফেলে দিয়ে সেই গাছ তলায় সেই ছায়ার বাইকের সিটটাতে একলা বসে উদাস হয়ে যেতে মন চায়। অথবা কেমন যেন পড়ন্ত দুপুরে শীতের পাতা পড়ে ঢেকে যাওয়া রাস্তায় শুকনো পাতাগুলোর উপর মর্মর আওয়াজ তুলে হাঁটতে হাঁটতে একলা একলা হারিয়ে যেতে মন চায়! অথবা রাতের আকাশটার দিকে তাকিয়ে কোন এক অদ্ভূত প্রতীক্ষা! পেছনে ফেলে আসা কষ্টকর অনুভূতিগুলো যখন বুকের বাঁ পাশটাতে চিনচিন করে ব্যথা দেয়… এমন করেই একটু উদাস হয়ে অপেক্ষা করতে করতে রাতের অনেকখানি পার হয়ে যাওয়া। অদ্ভূত, তাইনা? কোনো কষ্ট না থেকেও শুধু শুধু কষ্ট পাওয়া! আসলেই অদ্ভূত। তাই একলা চলতে হয়, চলতে শুখতে হয়। উপরোক্ত লেখাটি আমার এক প্রিয় বন্ধু জীবনে ঘটে যাওয়া কাহিনী। তার অনুরোধে নিজের দেখা কিছু বাস্তবতা ও তার মুখে শোনা সংক্ষিপ্ত ঘটনাটি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। লেখক: তানভীর হাসান তানু ঠাাকুরগাঁও।

মন্তব্য করুন


 

Link copied