জানা যায়, টার্মিনাল থেকে মডার্নমোড় এলাকার তিনটি স্থানে মাঝে মধ্যেই বিচ্ছন্ন ঘটনা ঘটে থাকে। বিশেষ করে মডার্ন মোড় পার হয়ে শুটকির আরদ এলাকা, রেলগেইট ও বিআরটিসি স্ট্যান্ডের আশপাশের ফাকা জায়গাগুলো রাতের বেলা চলাফেরা করতে অনেকেই আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন। কারণ এসব জায়গায় হরহামেশায় চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী আরমান জানান, নগরীর অধিকাংশ সড়কে রাত্রিকালীন বাতি থাকলেও অজানা কারণে এই এলাকায় তা লাগানো হয়নি। এমনকি সিটি নির্বাচনের প্রায় ৫ বছর অতিক্রান্ত হলেও এখানে সড়ক বাতি লাগানোর কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। ফলে এ এলাকার মানুষজন স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারছে না। রাত হলেই চুরি-ছিনতাইয়ের আশঙ্কা কাজ করে।
বিগত ছয় মাসে এই এলাকায় কমপক্ষে ১০টি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আরিফ জানান, কযেকদিন আগে সন্ধ্যার পরপরই অটোরিকশা যোগে টার্মিনাল থেকে মডার্ন মোড়ে ফিরছিলেন। সামান্য বৃষ্টি থাকায় রাস্তায় জনমানুষের উপস্থিতি ছিল না। অটোরিকশাটি দর্শনা রেলগেইট এলাকায় পৌঁছলে তিনজন যুবক তার গতিরোধ করে থামায়। তার মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ নিয়ে যায়।
নগরীর ১৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাফিউল ইসলাম শাফি বলেন, সিটি কর্পোরেশন ও রোর্ডস অ্যান্ড হাইওয়ের আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে এই এলাকায় এতদিন সড়ক বাতি লাগানোর কাজ করা সম্ভব হয়নি। এখন কাজের দরপত্র হয়েছে। চলতি মাসেই কাজ শুরু হবে। চুরি-ছিনতাইয়ের বিষয়ে তিনি জানান, অতীতে এই এলাকায় চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। চুরি-ছিনতাই রোধে বিভিন্ন জায়গায় রাত্রিকালীন চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এখন চুরি ছিনতায়ের ঘটনা কম ঘটছে।
কোতয়ালী থানার ওসি এবিএম জাহিদুল ইসলাম জানান, এই সড়ক বাতি না থাকলেও ওই এলাকায় পুলিশ নিয়মিত টহল দেয়। ফলে এখন চুরি বা ছিনতাই হয় না বললেই চলে।
