আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ● ৫ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ১৮ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: সার্ভার ডাউন: রসিকে জন্ম নিবন্ধন নিয়ে ভোগান্তি চরমে       রংপুরে ফটোসাংবাদিক ফিরোজ চৌধুরীর একক আলোকচিত্র প্রদর্শনী       ডোমার ও ডিমলা উপজেলা নির্বাচনে ৩৫ জনের প্রার্থীতা বৈধ ॥ চেয়ারম্যান পদে ১২ জনের মধ্যে আওয়ামীলীগের ৭ জন প্রার্থী       নীলফামারীতে ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস পালন       নীলফামারীতে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু      

 width=
 

তৃতীয় দফার বাড়তি সময়ও শেষেও চালু হচ্ছে না দ্বিতীয় ‘তিস্তা সেতু’ (ভিডিও)

রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭, দুপুর ০৪:৪৮

এলাকাবাসীর অভিযোগ, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও নির্মাণ তদারকি সংস্থার খামখেয়ালির কারণে তৃতীয় দফা সময় বাড়ানোর পরেও সেতুর শতভাগ কাজ শেষ হয়নি।

আর নির্মাণ তদারককারী কর্তৃপক্ষ জানান, সেতুর কাজ শেষ হয়েছে। এখন সংযোগ সড়ক তৈরির কাজ বাকি। এই কাজ শেষ হলেই উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে চালু হবে সেতুটি। অথচ গত জুন মাসেই তৃতীয় দফার সময়ের মেয়াদ শেষ হয়েছে। তবে সংযোগ সড়ক নির্মাণের ক্ষেত্রে জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে সরকারি বাজার মূল্য কিছুটা কম হওয়ায় জটিলতা তৈরি হয়েছে বলে জানা যায়।

স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্র জানা যায়, ২০১২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বিতীয় তিস্তা সড়ক সেতু নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন। ২০১৪ সালের জুনে সেতুর কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা না হওয়ায় ২০১৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। এই সময়েও কাজ  শেষ না হওয়ায় দ্বিতীয় দফায় ২০১৬ সালের জুন পর্যন্ত আবরো সময় বাড়ানো হয়। পরবর্তীতে তৃতীয় দফায় আবার কাজের বাড়িয়ে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত করা হয়েছিল।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ডব্লিউএমসিজি-নাভানা গ্রুপ কাজটি পেয়েছে। ১২১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮৫০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৯ দশমিক ৫ মিটার চওড়া সেতু নির্মাণে চুক্তি বদ্ধ হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। সেতুটির এক পাড়ে রংপুরের গঙ্গাচড়া মহিপুরঘাট। অন্যপাড়ে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ। এই দুই জেলার মানুষের মধ্যে নিবিড় উন্নয়নে দ্বিতীয় তিস্তা সড়ক সেতুর নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। এই সেতুটি চালু হলে এ অঞ্চলের স্থলবন্দর বুড়িমারীর সঙ্গে তা যুক্ত হবে। তখন আন্তর্জাতিক মহাসড়কে পরিনত হবে সড়কটি। কিন্তু গত জুনে তৃতীয় দফা বাড়তি সময় শেষ হলেও নানা অজুহাতের কারণে সেতুটি চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। খেয়া পারাপার হয়ে দুই জেলাবাসী তাদের মধ্যে সংযোগ রক্ষা করছেন।

এই সড়ক পথে বন্দরে প্রায়ই যাতায়ত করেন প্রকৌশলী এটিএম মোহসীন, আমদানিকারক শাহজাহান বাবু, ব্যবসায়ী আসাদুজ্জামাসহ বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয়। তারা জানান, সেতুর কাজ শেষ না হওয়ায় সবারই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। আমরা দ্রুত সেতু নির্মাণের জন্য ঊধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এদিকে সেতুর নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ হলেও সংযোগ সড়কের জমি অধিগ্রহণের কাজ ধীরগতিতে হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এলাকাবাসী। আর ঠিকাদার  প্রতিষ্ঠান নাভানা কন্সট্রাকশনের উপ-ব্যবস্থাপক সাধন কুমার পাল জানান, সেতু নির্মাণের কাজ তারা শেষ করেছেন। সংযোগ সড়কের কাজ শেষ হলেই তা চালু করা হবে। সরকারি দামের চেয়ে বাজারে জমির বেশি হওয়ায় অনেকে জমি বিক্রি করতে চাচ্ছে না। সেতুর পাশে কিছু জমি ব্যক্তিগত। এসব জায়গাগুলো  নিয়ে দ্রুত সংযোগ সড়ক তৈরি করা হবে।

লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার এলজিইডি প্রকৌশলী পারভেজ নেওয়াজ খান বলেন, সেতু প্রকল্পের কাজ শেষ। এখন মুল সেতুর সঙ্গে বিদ্যুৎ সংযোগ ও এপ্রোচ সড়কের কাজ বাকি। এ কাজ শেষ হলেই সেতুর উদ্বোধন করা হবে। এই সেতুর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১২১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।

মন্তব্য করুন


 

Link copied