আর্কাইভ  শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ● ৬ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: পলাশবাড়ীতে আসামির ছুরিকাঘাতে বাদীর মৃত্যু, গ্রেফতার ১       মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান-স্বজনের ভোটে না দাঁড়ানোর নির্দেশ       ভোজ্যতেলের দাম বাড়ল, খোলা তেলে সুখবর       বিএনপি নেতা সোহেলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে রংপুরে  মানববন্ধন ও সমাবেশ        খরার ঝুঁকিতে রংপুর অঞ্চল      

 width=
 

উত্তরাঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগের এক সেতু

মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭, দুপুর ০২:৫১

রংপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের ঢাকাগামী বাসের চালক, হেলপার ও সুপারভাইজার সূত্রে জানা যায়, সেতুটির ১২০ মিটার অংশ পার হতে সময় লাগছে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা। ফলে ঢাকা থেকে রংপুর ও রংপুর থেকে ঢাকা যাতায়াতে দীর্ঘ যানজটে পড়ছে উত্তরাঞ্চলের যাত্রীরা।

এদিকে মহাস্থান সেতুতে চলতি বছরের ৯ অগাস্ট ফাটল দেখা দেয়। এরপর  সেতু দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রেখে ওপরে নির্মাণ করা হয় একটি বেইলি ব্রিজ। যান চলাচল স্বাভাবিক করতে পাশেই আরো একটি বিকল্প বেইলি ব্রিজ নির্মাণ করার প্রক্রিয়া চলছে। কিন্তু নির্মাণকাজ এগুচ্ছে অত্যন্ত ধীরগতিতে।

অন্যদিকে ব্রিজটি নির্মাণ না হওয়ায় ও একমুখী যান চলাচলের কারণে দুর্ভোগ আরো চরমে পৌঁছেছে। সেতুটির ওপর মাঝারি ও ভারী যানবাহন চলাচলের জন্য একটি স্টিলের কাঠামোর বেইলি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। কাঠামোর দুই পাশে বালির বস্তা ফেলে প্রায় তিন ফুট উঁচু করা হয়েছে। দুই প্রান্তের দুই স্তরের সঙ্গে স্টিলের কাঠামোটি বসানো হয়েছে। ফলে সেতুটিতে যখন কোনো ভারী যানবাহন ওঠে, তখন সেই যানবাহনের ভার মাঝ বরাবর না পড়ে দুই পাশে ছড়িয়ে যায়।  সেতুর ওপর স্টিলের কাঠামো স্থাপনের ফলে সেতুর প্রস্থও কমে এসেছে। ফলে যান চলাচল হয়ে পড়েছে একমুখী। সেতুর দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের এটিই প্রধান কারণ। পাশাপাশি সেতুর ওপর মাঝারি ও ভারী যানবাহনগুলোকে ধীরগতিতে চলছে। এ কারণেও দীর্ঘ হচ্ছে যানজট। সেতু দিয়ে যান চলাচলে ঝুঁকি রয়েছে। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে।

নাবিল পরিবহনের গাড়িচালক লিটন বলেন, বগুড়ার মোকামতলার চণ্ডীহারা থেকে সেতুর রংপুর অংশে প্রায় তিন কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট ছিল। সেতুর মহাস্থান থেকে বগুড়া অংশে যানজটের পরিমাণ কিছুটা কম থাকলেও মহাস্থান কাঁচাবাজার থেকে সেতু পর্যন্ত তা আরো দীর্ঘ ছিল।

হানিফ পরিবহনের গাড়ি চালক সাইদুল ইসলাম জানান, ফাটল দেখা দেওয়ায় প্রায় দেড় মাস হতে চলেছে। দেড় মাস ধরে মহাস্থান সেতুতে যানজট সমস্যা দেখা দিয়েছে। সেতুটি পার হতে দেড়-দুই ঘণ্টা, কখনো কখনো আরো বেশি সময় লাগছে। কিন্তু স্বাভাবিক অবস্থায় সময় লাগতো পাঁচ থেকে দশ মিনিট। কাজের ধীরগতির কারণে এমন দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ সুষ্ঠু ও যথাযথ নজরদারি করলে কাজ আরো দ্রুত গতিতে হতো।

এনা পরিবহনের গাড়িচালক রফিক বলেন, বগুড়া শহরে ঢোকার পর চারমাথা ও তিনমাথা এলাকায় যানজটে পড়তে হয়। মহাস্থান সেতুর পর গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ ও পলাশবাড়ীতেও যানজটে পড়তে হচ্ছে। আর ঢাকা-টাঙ্গাইল অংশে চার লেনের নির্মাণকাজ চলায় ধীরে গাড়ি চালাতে হয়। সব মিলে ঢাকা থেকে ঠাকুরগাঁও যেতে কমপক্ষে ১২-১৩ ঘণ্টা লাগছে।

রংপুর থেকে ঢাকাগামী হানিফ পরিবহনের যাত্রী রতন শর্মা বলেন, দেড়-দুই বছর আগে রংপুর থেকে রাত ১০টায় গাড়িতে উঠলে ভোরের দিকে গাবতলী বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছে  যেতাম। এখন পৌঁছতে পৌঁছতে দুপুর হয়ে যায়। রাস্তা যেন ফুরাতেই চায় না।

মন্তব্য করুন


 

Link copied