লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের অধিবাসি মোঃ আফাজ উদ্দিন তার পৈত্রিক সম্পত্তির অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য ২০১৪ সালে লালমনিরহাট জেলা যুগ্ম জজ আদালতে ৫০ জনের বিরুদ্ধে ‘অন্য-৩৬/১৪’ একটি বাটোয়ারা মামলা করেন। মামলাটি গত ০৭-০৯-২০১৫ তারিখে বাদী আফাজ উদ্দিনের পক্ষে এক তরফাসুত্রে ডিক্রি রায় হয়। পরে কতিপয় ব্যক্তি আপীল করলে তাহা খারীজ করে আদালত এবং পূর্বের রায়টি বহাল রেখে সর্বশেষ গত ০৫-০৯-২০১৭ তারিখে চুড়ান্ত ডিক্রী রায় দেয়।
আদালতের আদেশে গত ২৫ সেপ্টেম্বর’১৭ লালমনিরহাটের এন.ডি.সি গোলাম ফেরদৌস নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে উপস্থিতি থেকে, কালীগঞ্জ থানার এস.আই তুষার চন্দ্র রায়ের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ফোর্সের সহায়তায় এ্যডভোকেট কমিশনার পলাশ কুমার বর্মণ ও নাজির সুরুজ্জামান ৮টি খন্ডে ২ একর ১৩ শতক সম্পত্তি আফাজ উদ্দিনকে ঢোল শহরতের মাধ্যমে বুঝায়ে দেন। অবশিষ্ট ২৫ শতক ভূমি বিজিবি’র বুড়িরহাট বিওপি ক্যাম্প স্থাপনা বিদ্যমান থাকায় তাহা আফাজ উদ্দিন বিওপি’র বরাবরে স্বেচ্ছায় ছেড়ে দেন।
এ ব্যাপারে আফাজ উদ্দিনের সাথে কথা বলে তার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন ‘ দেশে আইনের শাসন আছে বলেই দীর্ঘদিন পরে হলেও পৈত্রিক সম্পত্তি উদ্ধার করতে পেরেছি। যারা আমার সম্পত্তি উদ্ধারে দায়িত্ব পালন করেছেন, তাদের প্রতি আমি খুঁশি এবং কৃতজ্ঞ।’
এদিকে সম্পত্তি থেকে উচ্ছেদ হওয়া,বিদেশে থাকা সাজেদা বেগমের মা ফিরোজা বেগমের আর্তি, ‘আমার মেয়ের কষ্টের টাকা দিয়ে কেনা ২১ শতক জমিতে ৬মাস আগে বাড়ি করেছি। আমাকে না জানিয়েই হঠাৎ একদল লোক এসে বাড়িটি ভেঙ্গে তছনছ করে দিয়েছে। আমার বিছানার নিচে ৩০হাজার টাকা ছিল। ঘর ভাঙ্গার সময় কে বা কারা টাকাগুলো নিয়ে গেছে। ২১ শতক জমির মধ্যে আফাজ উদ্দিন তিন ভাগের এক ভাগ-৭ শতক পাইতে পারে,কিন্তু আমার সমুদয় ২১ শতক জমি থেকে উচ্ছেদ করলো,আমার বাড়িঘর ভেঙ্গে ছিন্নবিন্ন করে দিল । আমার উপর অবিচার করা হয়েছে। আমি আমার মেয়েকে কি দিয়ে বুঝাব..কই দাড়াব ...কার কাছে বিচার চাইব ! ’ এমন অভিযোগ আরও অনেকের। এডভোকেট কমিশনার মাঠ পর্যায়ে না এসে মনগড়া ‘জমির ছাহাম তালিকা’ করে আদালতে জমা দিয়েছে। হারাহারি ভাবে সবার অংশ থেকে জমি বের না করে,একক ভাবে ৭/৮জনের পুরা জমিই চলে গেছে, এমনটি জানিয়েছেন ভুক্তভোগিরা।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মকবুল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ‘আদালতের আদেশে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে এস.আই তুষার ও প্রয়োজন সংখ্যক পুলিশ ফোর্সসহ বাধাহীন,শান্তিপূর্ন ভাবে ডিক্রিদারের বরাবরে তার সম্পত্তি বুঝিয়ে দেয়ার কাজে সহায়তা করেছে।’