আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: রংপুরবাসীর জন্য সরকারি চাকরি, পদ ১৫৯       স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

যৌবন ধরে রাখাতে এক ডজন টিপস

বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭, সকাল ০৮:১০

১) যৌবন ধরে রাখার মূল মন্ত্রই হল সুস্থ, নির্মেদ শরীর৷ আর এর জন্য হাঁটার কোনও বিকল্প নেই৷ প্রতিদিন অন্তত আধঘণ্টা করে হাঁটুন৷ মোবাইলে গান শুনতে শুনতে হাঁটা নয়, ঘড়ি ধরে একেবারে ব্রিস্ক ওয়াকিং৷ফলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভালো হবে, হার্ট ভালো থাকবে৷ নিয়ন্ত্রণে থাকবে হার্টের রোগ, ডায়াবেটিজ, কোলেস্টেরল, প্রেশারের মতো সমস্যা৷ ফলে আপনাকেও লাগবে ঝরঝরে৷
২) প্রতিদিনের ডায়েটে অন্তত একটা করে মরসুমী ফল রাখুন৷ তবে রোজ যদি আম, কলা, আনারস, কাঁঠাল খেতে থাকেন, তাহলে ওজন বেড়ে আপনাকে বয়সের থেকে আরও দশবছর বেশি বয়স্ক লাগবে৷ তাছাড়া ফল পুষ্টিগুণেও ভরপুর৷ ফলে থাকা ফাইবার, ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা শরীরে পুষ্টি যোগায় ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। আর আপনাকে রাখে তরতাজা৷
৩) দৈনন্দিন ডায়েট থেকে সবুজ শাকসব্জি বাদ দিলে কিন্তু চলবে না৷ সবজি খেলে মানসিক উন্নতিসহ শারীরিক উন্নতিও হয়। মানুষ আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।মোটের উপর সার্বিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে৷
৪) ওজন কমাতে গিয়ে বা স্রেফ ইচ্ছে করছে না বলে ব্রেকফাস্ট কখনওই বাদ দেবেন না৷তাহলে কিন্তু শরীরের মেটাবলিজম সিস্টেমের গোলমাল হয়ে বেশি করে খিদে পেতে থাকে৷ আর বারে বারে খেতে খেতে আখেড়ে আমরা নিজের ক্ষতিই ডেকে আনি৷
৫) যৌবন ধরে রাখতে হলে মিষ্টি জাতীয় খাবার যথাসম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে। চকোলেট, পেস্ট্রি, ব্রাউনি, আইসক্রেমর মতো খাবারে প্রচুর  কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাট থাকে যা শরীরে ডায়াবেটিস ও কোলেস্টেরল বাড়ায়। তাই এগুলি যতটা সম্ভব কম খান৷ তা বলে ডায়েট থেকে চিনি পুরোপুরি ছেঁটে ফেলবেন না৷ অল্প হলেও নিয়মিত খান৷ তাহলে শরীরের এনার্জি লেভেল ঠিক থাকবে৷ শরীর-মন জুড়ে স্বতস্ফূর্ততার অনুভূতি থাকবে৷
৬) বয়স বাড়ার প্রথম লক্ষণটাই দেখা যায় আমাদের ত্বকে৷ রিংকল্স, চামড়া কুঁচকে যাওয়া, নির্জীব হওয়ার মতো ত্বকের সমস্যাগুলো শুরু হয় ৩৫-এর পর থেকেই৷তাই বয়স তিরিশ হলেই নিয়ম করে ত্বকের যত্ন নিন৷ ক্লিনজিং, টোনিং, ময়েশ্চারাইজিং রোজ করুন নিয়ম করে৷আর  মধ্য তিরিশের পর থেকে ব্যবহার করুন অ্যান্টি এজিং ক্রিম৷ মাসে অন্তত দুবার ফেস ম্যাসাজ করান৷ তবে খুব প্রয়োজন না হলে ফেসিয়াল করবেন না৷ দিনের বেলা সূর্যের আলো যেন সরাসরি ত্বকে না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখুন৷ সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ত্বক রক্ষা করার জন্য এসপিএফ ৩০ বা এর বেশি উপাদান সমৃদ্ধ সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহার করা জরুরি।
৭) শরীরের অতিরিক্ত ওজন ঝরিয়ে ফেলুন। অতিরিক্ত ওজন খুব দ্রুত মানুষকে বুড়িয়ে দেয়৷ এমনকী কমিয়ে দেয় আত্মবিশ্বাসও৷ নিয়মিত ব্যায়াম ও খাবার নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে ফেললে যৌবন ধরে রাখা সম্ভব৷ তা বলে একেবারে খাওয়া বন্ধ করেল কিন্তু হিতে বিপরীত হবে৷ শরীরের যাবতীয় গ্ল্যামার শেষ হয়ে, আপনার চেহারায় নেমে আসবে অকাল বার্ধক্য৷
৮) সুস্থ দীর্ঘ জীবন পেতে এবং যৌবন ধরে রাখতে সকালে খানিকক্ষণ সূর্যালোকে থাকুন। সূর্যের আলোতে আছে ভিটামিন ডি যা হাড়কে মজবুত করে। এবং সঙ্গে মানসিক চাপ ও অবসন্নতাও কমিয়ে দেয়৷
৯) চেষ্টা করুন প্রতিদিন সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমোতে৷ সঙ্গে হাল্কা ব্যায়ামের অভ্যেস রাখতে পারলে উপকৃত হবেন আপনিই৷
১০) অ্যালকোহল, সিগারেট বা কোনও নেশার দ্রব্য বর্জন করুন৷
১১)এড়িয়ে চলুন স্ট্রেস৷ স্ট্রেসও খুব তাড়াতাড়ি চেহারায় বয়সের ছাপ ফেলে৷
১২) প্রয়োজন আনুন মানসিকতায়৷ বয়স যে আদতে বাড়ছে, এই সত্যিটা মেনে নিন৷ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে পাল্টান৷ যা আপনার সাধ্যের মধ্যে রয়েছে, তা নিয়েই খুশি থাকার চেষ্টা করুন৷ অতিরিক্ত উচ্চাক্ঙ্খাকে জীবন থেকে একেবারে ছঁটে ফেলুন৷ আপনি ভালো থাকবেন, চারপাশের সবাইকে ভালো রাখতে পারবেন৷

মন্তব্য করুন


 

Link copied