বৃহস্পতিবার(২৮সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫ টার দিকে ওই কলেজের গেটে মানবন্ধন করেছে কয়েক শত নারী-পুরষ ও শিক্ষার্থী। এ মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন অভিভাবকরাও।
এলাকাবাসীরদের উদ্যোগে ওই মানববন্ধনে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের নেতারাও একাত্ত¡তা প্রকাশ করেন। প্রায় ঘন্টাব্যাপি চলা ওই মানবন্ধন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষকও এসে যোগ দিয়ে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন।
বক্তরা বলেন, কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক সুমনের ‘যৌন লালসার’ শিকার হয়েছেন অনেক ছাত্রী। বিষয়টি এলাকার প্রায় সবাই জানেন। তিনি কলেজের অদূরে একটি ভাড়া করা রুমে প্রাইভেট পড়ানোর আঁড়ালে অনেক ছাত্রীর সর্বনাশ করেছেন। তাই তাকে শুধু সামায়িক বহিস্কার নয়, স্থায়ীভাবে কলেজ থেকে চাকুরিচ্যুত করতে হবে। অন্যাথায় এলাকায় বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে ওই মাববন্ধনে ঘোষণা দেয়া বক্তরা।
এদিকে কয়েকটি ছাত্র সংগঠনের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে গঠিত ৫ সদস্য তদন্ত টিম ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ‘যৌন নিপীড়ন’ অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে। ফলে ওই তদন্ত টিমের দেয়া প্রতিবেদনের আলোকে স্থানীয় এম,পি ও কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোতাহার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক জরুরী সভায় গত সোমবার রাতে সুমনকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে। তবে এরপর থেকে এলাকায় আর পাওয়া যাচ্ছে না ‘অভিযুক্ত’ কলেজ শিক্ষক সুমনকে। এমনকি তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে কল দিয়েও তাকে পাওয়া যাচ্ছে না।
কলেজের অধ্যক্ষ সরওয়ার হায়াত খান ওই শিক্ষককে সাময়িক বহিস্কারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তার বিরুদ্ধে যেহেতু গুরতর অভিযোগ উঠেছে, সেহেতু বিষয়টি অধিকতর তদন্ত করতে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের সহায়তা নেয়া হচ্ছে।
হাতীবান্ধা থানার ওসি তদন্ত আব্দুর রাজ্জাক বলেন, পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। তবে ওই শিক্ষকের অতিত রেকর্ড ভালো শোনা যাচ্ছে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।