সমাবেশে বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন ঘটনার ১১ মাস পেরিয়ে গেলেও ৩জন সাঁওতাল হত্যাকান্ড মামলার দৃশ্যমান অগ্রগতি না হয়নি। বক্তারা এই হত্যাকান্ডের আসামি গোবিন্দগঞ্জের সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ, সাপমারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাকিল আহম্মেদ বুলবুলসহ সকল আসামীকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে বিচার শুরুর দাবি জানান।
সভায় বক্তারা আরও বলেন,রংপুর চিনিকল কর্তৃপক্ষ সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্মের জন্য সংগৃহীত সাঁওতাল ও বাঙ্গালিদের নিকট থেকে যে শর্তের ভিত্তিতে ১৮শ একর সম্পত্তি অধিগ্রহণ করেছিল তা মিল অকার্যকর, আখ চাষ বাদ দিয়ে অন্য ফসল আবাদ ও স্থানীয় দুবৃত্তদের কাছে লীজ দেয়ায় অশুভ চক্রান্তের কারণে সেই শর্ত মিল কর্তৃপক্ষ অনেক আগেই ভঙ্গ করেছেন। এখন ঐ শর্তের ভিত্তিতেই বাগদাফার্ম এলাকার ওই সম্পত্তির মালিক আদিবাসী সাঁওতাল ও বাঙ্গালিরা। বক্তারা অবিলন্বে আদিবাসী সাঁওতাল ও বাঙ্গালিদের সম্পত্তি ফেরত দেবার দাবি জানান।
শেষে সমাবেশ থেকে আগামি ৬ নভেম্বর তিন সাঁওতাল হত্যাকান্ড দিবস গোবিন্দগঞ্জ শহরের শহিদ মিনারে সকাল ১০টায় পালনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
সাহেবগঞ্জ বাগদাফার্ম-ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সহ-সভাপতি ফিলিমন বাসকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জাতীয় আদিবাসী পরিষদের কেন্দ্রীয কমিটির সাধারণ সম্পাদক সবিন চদ্র মুন্ডা, আদিবাসী ইউনিয়ন নেতা বার্নাবাস,আদিবাসী বাঙ্গালী সংহতি পরিষদের আহ্বায়ক এ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বাবু, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসদের জেলা সমন্বয়ক গোলাম রব্বানী, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি জেলা কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক এ্যাড.মুরাদজ্জামান রব্বানী,জন উদ্যেগের সদস্য সচিব প্রবীর চক্রবর্তী, সিপিবি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা সভাপতি তাজুল ইসলাম, মানবাধিকার কর্মী অঞ্জলী রাণী দেব,আব্দুল খালেক,এ্যাডভোটে মোহাম্মদ আলী,বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন নেতা প্রিসিলা মুর্মু, আদিবাসী নেতা অলিভিয়া মার্ডি প্রমুখ।