আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: রংপুরবাসীর জন্য সরকারি চাকরি, পদ ১৫৯       স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

বাংলাদেশকে উড়িয়ে দিয়ে হোয়াইটওয়াশ করলো দ. আফ্রিকা

রবিবার, ৮ অক্টোবর ২০১৭, রাত ০৮:১৩

 ডেস্ক: শেষ কবে তিনদিনে টেস্ট হেরেছিল বাংলাদেশ? খুঁজতে গিয়ে দেখা গেল ২০১০ সালের জুনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। এরপর ৭ বছর পর আবার ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি। এবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পৌনে তিনদিনেই টেস্ট হারলো টাইগাররা। তিন বছর পর ফিরে এলো ইনিংস ব্যবধানে হারের চিত্রও। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে বাংলাদেশের লজ্জার হারটি ইনিংস ও ২৫৪ রানের। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে পঞ্চম বড় হার। ২০০২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ইনিংস ও ৩১০ রানের হারটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড়।
প্রথম ইনিংসের মতো রোববার দ্বিতীয় ইনিংসেও বাংলাদেশের ব্যাটিং ভেঙে পড়ে কাগিসো রাবাদার বলেই। তার বলে যেন ব্যাটিংই ভুলে যায় বাংলাদেশ! এলোমেলোভাবে ব্যাট চালিয়ে সাজঘরমুখি হন ব্যাটসম্যানরা। টাইগারদের শরীরি ভাষাতেই ফুটে ওঠে স্নায়ুচাপের ভয়াবহতা। আর তাতেই যেন টাইগার ব্যাটসম্যানদের পেয়ে বসেন স্বাগতিক পেসাররা। রাবাদার সঙ্গে অখ্যাত আনদিলে ফেলুকায়ু ও ডুয়ানে ওলিভিয়েরও তোপ দাগতে শুরু করেন। ফলে মাত্র ৪২.৪ ওভারেই অলআউট হয়ে যায় সফরকারীরা। প্রথম ইনিংসেও ৪২.৫ ওভার খেলতে পেরেছিল বাংলাদেশ। ব্লমফন্টেইনে ৪১৯ রানে পিছিয়ে থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে রোববার দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করা শুরু করে বাংলাদেশ। কোনো উইকেট না হারিয়ে আগের ৭ রানে। প্রথম ইনিংসের দুর্ভাগ্য পিছু ছাড়েনি এই ইনিংসেও। শুরুতেই ফিরে যান সৌম্য সরকার। সেই একই ভুল। অফ স্টাম্পের বাইরের বল অযথাই খোঁচা দিতে গিয়ে বলী হন তিনি। দলের রান তখন ১৩। ৮ বলে ৩ রান করে ফিরেন সৌম্য। সৌম্যর বিদায়ের রেশ কাটতে না কাটতেই আউট হন মুমিনুল হকও। এরপর দলকে লড়াইয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন ইমরুল কায়েস ও মুশফিকুর রহীম। কিন্তু লাভ হয়নি। ৩৪ রানের জুটি গড়ার পর সেই পুরনো চিত্র। অলিভিয়েরের বলে উইকেটরক্ষক কুইন্টন ডি ককের হাতে ক্যাচ দিয়ে ব্যক্তিগত ৩২ রানে সাজঘরে ফেরেন ইমরুল। এরপর ব্যর্থতার বৃত্ত লম্বা করে আউট হন অধিনায়ক মুশফিকও। ওয়েন পারনেলের বলে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়েন তিনি। রিভিউ নিয়েছিলেন তবে শেষরক্ষা হয়নি। ২৬ রানেই শেষ হয় তার ইনিংস। তার আগে মাথায় বাউন্সারের আঘাত পেয়েছিলেন। উঠে দাঁড়িয়ে আবার শুরু করেন খেলা। মাঠ ছাড়েননি তখন। পরে গেছেন হাসপাতালে। মুশফিকের বিদায়ের পর দল তাকিয়ে ছিল লিটন কুমার দাসের দিকে। তিনি ইঙ্গিতও দিচ্ছিলেন ভালো কিছু করার।  মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে ৪৩ রানের জুটিও গড়েন। কিন্তু প্রতিরোধের গল্প হয়নি। উল্টো ব্যর্থতার পাল্লা ভারী করে ফেরেন লিটন। ব্যক্তিগত ১৮ রানে শেষ হয় তার ইনিংস। লিটন আউট হওয়ার পর বাংলাদেশের স্বপ্নটা ছিল মাহমুদউল্লাহকে জড়িয়েই। কারণ উইকেটে তখন দারুণ সেট এই ব্যাটসম্যান। এই উইকেটেই রানের ফুলঝুরি ছুটিয়েছেন প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানরা। কিন্তু রাবাদার অফ স্টাম্পের অনেক বাইরে থাকা বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে স্লিপে ডিন এলগারের দুর্দান্ত এক ক্যাচে আউট হন সাইলেন্ট কিলার। আউট হওয়ার আগে ৫৯ বলে ৭টি চার ও ১টি ছক্কায় ৪৩ রান করেন এ ব্যাটসম্যান। রাবাদা তুলে নেন ক্যারিয়ারের শততম উইকেট। মাত্র ২২ টেস্টেই এ কীর্তি গড়েন তিনি। এরপর দলের শেষ স্বীকৃত ব্যাটসম্যান হিসেবে উইকেটে ছিলেন সাব্বির রহমান। কিন্তু ফেলুকায়ুর বলে খোঁচা দিতে গিয়ে উইকেটরক্ষক ডি ককের তালুবন্দি হয়ে আউট হন তিনিও। বোলার মতো কিছু করতে পারেননি লেজের ব্যাটসম্যানরাও। তাইজুল ইসলাম ও রুবেল হোসেনও রাবাদার বলে বোল্ড হয়ে যান। এরপর ফেলুকায়ু দলের শেষ ব্যাটসম্যান মোস্তাফিজুর রহমানকে বোল্ড করলে ইনিংস ও ২৫৪ রানের বিশাল ব্যবধানেই জয় পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে ৩০ রানের খরচায় ৫টি উইকেট পান রাবাদা। আগের ইনিংসেও ৫ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। ২২ বছরের যুবা এ নিয়ে ম্যাচে ৩ বার ১০ বা তার বেশি উইকেট শিকার করলেন। এছাড়া ফেলুকায়ু ৩৬ রানের বিনিময়ে পান ৩টি উইকেট। সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ইনিংস : ৫৭৩/৪ ডিক্লে. (এলগার ১১৩, মারকরাম ১৪৩, আমলা ১৩২, ডু প্লেসি ১৩৫*; শুভাশিষ ৩/১১৮, রুবেল ১/১১৩)। বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস : ১৪৭ (ইমরুল ২৬, সৌম্য ৯, মুমিনুল ৪, মুশফিক ৭, মাহমুদউল্লাহ ৪, লিটন ৭০, সাব্বির ০, তাইজুল ১২, রুবেল ১০, মোস্তাফিজ ০, শুভাশিষ ২*; রাবাদা ৫/৩৩, অলিভিয়ের ৩/৪০, পারনেল ১/৩৬, মহারাজ ১/৭)। বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস : ১৭২ (ইমরুল ৩২, সৌম্য ৩, মুমিনুল ১১, মুশফিক ২৬, মাহমুদউল্লাহ ৪৩, লিটন ১৮, সাব্বির ৪, তাইজুল ২, রুবেল ৭, মোস্তাফিজ ৭, শুভাশিষ ১২*; রাবাদা ৫/৩০, ফেলুকায়ু ৩/৩৬, অলিভিয়ের ১/৩৯, পারনেল ১/৩১)। প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ : কাগিসো রাবাদা। প্লেয়ার অব দ্য সিরিজ : ডিন এলগার।

মন্তব্য করুন


 

Link copied