আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: রংপুরবাসীর জন্য সরকারি চাকরি, পদ ১৫৯       স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

কিশোরীগঞ্জে আগাম আলু চাষে ধুম

বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর ২০১৭, রাত ০৮:২৭

আগাম জাতের ধান ঘরে তুলে এখন আগাম আলু চাষে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন নীলফামারী জেলার কিশোরীগঞ্জের কৃষকরা। আগাম জাতের আলু চাষ করে লাভবান হওয়ায় বরাবরের মতো এবারও আলু চাষে ঝাপিয়ে পড়েছে কৃষক। আগাম আলু আবাদে দাম পাবে কৃষক। কিছুদিন আগে আগাম জাতের ধান হিরা ২, ব্রি-৩৩, ব্রি-৩৯, ব্রি-৪৯, ব্রি-৫৬ ও বীণা-৭ ধান ঘরে তুলেছেন কৃষক। সেই জমিতে এখন আগাম আলুর বীজ বুনছে। বাজারে যার আলু যত আগে উঠবে, তার লাভ তত বেশি। তাই আগেভাগেই আলু আবাদ করছি কথা গুলো বললেন কিশোরীগঞ্জ উপজেলার উত্তর দুরাকুটি গ্রামের কৃষক আলম হোসেন। এবার আবহাওয়া অনুকূল। বীজের দাম কম। প্রয়োজনীয় সারের সরবরাহও স্বাভাবিক। তিনি এবার আট বিঘা জমিতে আগাম জাতের আলু রোপন করছেন। তিনি জানান প্রতি বিঘা জমিতে আগামজাতের আলু রোপনে খরচ হচ্ছে ১০ হাজার টাকা। বিঘায় আলু উৎপাদন হবে প্রায় আড়াই হাজার কেজি। আগাম আবাদে আগাম বাজার ধরতে পারলে আলুর কেজি বিক্রি হবে প্রায় ৬০ থেকে ৫৫ টাকা করে। এতে বিঘাপ্রতি আলু বিক্রি করে খরচ বাদে লাভ পাওয়া যাবে প্রায় ৫০ হতে ৭০ হাজার টাকা। আজ বৃহস্পতিবার সকালে কিশোরীগঞ্জ উপজেলার নিতাই ইউনিয়নের গাংবের গ্রামের আলু চাষী আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদ জানান, আগাম জাতের আলু চাষ করে ভালো দাম পাওয়া যায়। তাছাড়া ৬০-৬৫ দিনের মধ্যে এ আলু ক্ষেত থেকে তোলা যায় বলে কৃষকদের আলু চাষের আগ্রহ বেশি। পানিয়ালপুকুর এলাকার আলু চাষী মোছারুল ইসলাম জানান, গতবার পাঁচ বিঘা জমিতে আলু আবাদ করলেও এবার দ্বিগুণ করেছেন। গতবার ভালো দাম পেয়েছেন বলে জানান তিনি। সোনারায় ইউনিয়নের বেড়াডাঙ্গা গ্রামের কৃষক কামরুজ্জামান জানান, ভালো দামের আশায় তিনি এবার ১৭ বিঘা জমিতে আগাম আলু চাষ করেছেন। ফসলের মাঠে কৃষক ও কৃষি শ্রমিকদের বসে থাকার সময় নেই। প্রচুর কাজ হাতে। কাজ করে শেষ করতে পারছে না। শ্রমের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে বছরের এই সময়টা যে কৃষি শ্রমিকরা রাজধানী বা অন্যান্য শহরে দিন মজুরী করতে যেতেন, তারা মাঠেই রয়ে গেছেন। জিয়ারুল নামে এক কৃষি শ্রমিক জানান, আগে এ সময়টা কোন কাজ থাকতো না। এখন আগাম আলু চাষ হওয়ায় কাজের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বেলাল নামের আরেক কৃষি শ্রমিক জানান, আগে বেকার থাকতে হতো আর এখন আলু ক্ষেতে কাজ করে প্রতিদিন ২ শ ৫০ থেকে ৩শ মজুরী পাওয়া যাচ্ছে। একই কথা জানালেন কয়েকজন শ্রমিক। নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র মতে, এবার জেলায় ২০ হাজার হেক্টর জমিতে আগাম জাতের আমন ধান কাটাই মাড়াই করা হয়। ওই পরিমান জমিতে আগাম আলু চাষ করছে কৃষক। জেলার মধ্যে কিশোরীগঞ্জে আগাম আলুর চাষ হয় বেশি। আগাম আলু ঘরে তুলে সরিষা বা দ্বিতীয় ও তৃতীয় বারের মতো আলু চাষ করবেন কৃষক। কিশোরীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন, উপজেলায় এবার ১৪ হাজার ৭৬০ হেক্টর জমিতে আমন চাষ হয়েছে। বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে ৫ হাজার ২০০ হেক্টর জমি। এর মধ্যে সম্পূর্ন ক্ষতি হয়েছে ২০ হেক্টর জমির ফসল। উপজেলায় আগাম জাতের চায়না ও উচ্চ ফলনশীল ধান আবাদ হয়েছে সাড়ে ৪ হাজার হেক্টর জমিতে। জমির আগাম জাতের ধান কাটা হয়েছে। এবার কৃষকরা আগাম জাতের আলু আবাদে নেমে পড়েছে। ৫০ থেকে ৫৫ দিনে এই আলু বাজারে পাওয়া যাবে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied