আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

তিস্তা সেতু; পাল্টে দিয়েছে রংপুর অঞ্চলের দৃশ্যপট

সোমবার, ১৬ অক্টোবর ২০১৭, বিকাল ০৬:০৯

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামের সাথে রংপুরসহ সারা দেশের অন্যান্য জেলাগুলোতে যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে তিস্তা নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয় ২০০১ সালে। সে বছর ১ জুলাই তৎকালীন প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা তিস্তা সড়ক সেতু নির্মাণের ভিত্তি-প্রস্তর করেন। কুয়েত ফান্ডফর আরব ইকনোমিক ডেভেলপমেন্ট এবং বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অধীনে সড়ক ও জনপথ বিভাগে- সেতুর প্রকল্পের আওতায় ৭৫০ মিটার দীর্ঘ, ১২ দশমিক ১ মিটার প্রস্থ বিশিষ্ট তিস্তা সড়ক সেতুর নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। ব্যয় ধরা হয় ৮৭ কোটি ৬ লাখ ৪ হাজার ৩৬ টাকা। অবশেষে ২০১২ সালে যান-চলাচলের জন্য প্রস্তুত হয় সেতুটি। একই সালের ২০ সেপ্টেম্বর তিস্তা সড়ক সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা।

লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম জেলার বুড়িমারী স্থলবন্দরের সাথে রংপুরসহ সারা দেশের মানুষ প্রায় ২শত বছর ধরে তিস্তা রেল সেতুর উপর দিয়ে প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতো। মেয়াদ উত্তীর্ণ রেল সেতুর উপর দিয়ে ১০ টনের বেশি মালামাল পরিবহনে বিধি নিষেধ থাকায় বেশি ধারণ ক্ষমতার যানবাহনগুলোর সেতুর দু’পারে মালামাল লোড- আনলোড করে পারাপর করতে হতো। এতে করে একদিকে মালামাল পরিবহনে ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে মালামাল পরিবহনে তাদেরকে কোটি কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যায় করতে হতো। ফলে দ্রব্য মূল্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছিল। আর ন্যায্যমূল্য পেত না কৃষকরা। এছাড়া রেলওয়ে সেতুতে প্রতিনিয়ত ঘটতো দুর্ঘটনা। যাতায়াতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হতো যাত্রী সাধারণকে। পোহাতে হতো নানা দুর্ভোগ। এখন তিস্তা সেতু নির্মাণ করায় সেতুকে ঘিরে তৈরি হয়েছে দেশের আরও ৬২ জেলার সাথে একটি মেলবন্ধন।

তিস্তার চায়নার বাজার এলাকার আবু তাহের ২ যুগ ধরে ভুট্টার ব্যবসা করেন। তিনি ভুট্টা কিনে রেখে পরে ঢাকায় পাঠাতেন। আগে তিস্তা ব্রিজ দিয়ে ভুট্টা ঢাকায় পাঠাতে সময়ের পাশাপাশি বেশ খরচ পড়তো। সেসময় ব্যবসা ভালো যেত না। কষ্টে দিনাতিপাত করতেন। কথা হয় এই ব্যবসায়ীর সাথে, তিনি বলেন-তিস্তা সড়ক সেতু হওয়ার পর ভুট্টা ব্যবসায়ীর সংখ্যা বেড়েছে। সবাই ভালো চলছে।

একই এলাকার মাইক্রো চালক আশরাফুল আলম (নয়ন) মাইক্রোতে করে রোগী নিয়ে আসতেন রংপুরে। তিনি রোগী নিয়ে তিস্তা ব্রিজের পাড়ে দীর্ঘ সময় অপেক্ষার কথা জানান। ব্রিজের পাড়ে দেড় ঘণ্টা লম্বা লাইনে পরে ২০০৪ সালের তার মাইক্রোতেই রোগী মারা যায়। রংপুরে নিতে পারেন নি রোগী। তিস্তা সেতু হওয়ায় সেই দুর্ভোগ কমেছে।

তিস্তা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক শাহ মোবাশেরুল ইসলাম রাজু বলেন, তিস্তা সড়ক সেতু হওয়ায় এই অঞ্চলে মানুষের ২শত বছরের কষ্ট দূর হয়েছে।

কাউনিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক, এই সেতু হওয়ায় উন্নয়নের পাশা-পাশি সরকারের রাজস্ব আয়ও বেড়েছে বলে জানান।

রংপুর মেট্রোপলিটন চেম্বার অব অব কমার্সের- পরিচালক সাব্বির আহম্মেদ বললেন, তিস্তা সড়ক সেতু চালুর পর লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম জেলার বন্ধ হওয়া কুটির শিল্পগুলো চালও হয়েছে।পাশাপাশি গড়ে উঠছে বড় বড় কারখানা। এতে করে প্রায় ১ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied