ভেজাল সার জব্দ করে নীলফামারীতে দুই সার ব্যবসায়ীকে অর্থদন্ড করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। গতকাল মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) রাত ৮টায় সদর উপজেলার ইটাখোলা ইউনিয়নের সিংদই গ্রামে এবং রামনগর ইউনিয়নের বিষমুড়ি গ্রামে পৃথক অভিযান চালায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু হাসানের নেতৃত্বে গঠিত টাস্কফোর্স। এ সময় উক্ত দুই জনের এক লাখ ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন ফ্রেন্ডস্ এগ্রো লিমিটেডের ব্যবস্থাপক হারুন অর রশিদ (৩৬) ও রামনগর ইউনিয়নের বিষমুড়ি সরকার পাড়া গ্রামের মহির উদ্দিন (৫৫)। এদের মধ্যে ফ্রেন্ডন্স এগ্রো লিমিটেড নামের একটি কারখানায় ভেজাল সার উৎপাদন করে বাজারজাত করণ ও নিজবাড়িতে ভেজাল সার সংরক্ষণ করে রেখেছিল মহির উদ্দিন।
তাদের সার ব্যবস্থাপনা আইন ২০০৬ এর ১৭ ধারায় হারুন অর রশিদকে এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে সাতদিনের সশ্রম কারাদন্ড এবং সংরক্ষণের অপরাধে মহির উদ্দিনকে ২০হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তাৎক্ষনিকভাবে জরিমানার টাকা পরিশোধ করায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কারখানা সিলগালা করে গুদামে রক্ষিত ভেজাল সার ও মালামাল ধ্বংসের জন্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাজেদুল ইসলাম বলেন, সিরামিক কারখানার কাচামালের উচ্ছৃষ্ঠ বর্জ্য সংগ্রহ করে ভেজাল জীপসাম ও রং মিশিয়ে বিভিন্ন নামের সার তৈরী করে কৃষককে প্রতারণা করে আসছিল ফ্রেন্ডস্ এগ্রো লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানটি তিনি বলেন, টাক্সফোর্সের ওই অভিযানে র্যাব, পুলিশ ছাড়াও আনসার বাহিনীর সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন। অসাধু ব্যবসায়ীরা আর্থিক ভাবে লাভবান হওয়ার জন্য এবং কৃষিকে ক্ষতিগ্রস্থ্য করতে পরিকল্পিত ভাবে এসব ভেজাল সার উৎপাদন করে প্রতারনা করে আসছে।