বুধবার(১৮ অক্টোবর) সকালে উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের বারঘড়িয়া দেওয়ানীর বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অবরুদ্ধরা হলেন, ওই গ্রামের মৃত আবুল হোসেনর ছেলে বেলাল হোসেন, টন্ডুল মিয়া, আবুলের ছেলে শামছুল হক, অফেজ আলীর ছেলে ইদ্রীস আলী,আমীর আলী, সিদ্দুকুর রহমান।
অবরুদ্ধ পরিবারের অভিযোগে জানা গেছে, ১৭/১৮ বছর পুর্বে তিস্তার ভাঙ্গনে ভিটে মাটি হারিয়ে গৃহহারা ৬টি পরিবার বারঘড়িয়া গ্রামে জমি ক্রয় করে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করে আসছেন। গত কয়েক বছর ধরে তাদের প্রতিবেশী মৃত ওমে আলীর ছেলে হামিজার রহমান গংরা এ ৬টি পরিবারকে বিতারিত করতে বিভিন্ন ভাবে মামলা দিয়ে হয়রানী করে আসছে। কয়েক বছরে ২৩টি মামলা দায়ের করে এসব পরিবারের বিরুদ্ধে। কিন্তু সকল মামলায় পরিবার ৬টির পক্ষে রায় চলে আসায় ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে তাদের ক্রয় সুত্রে পাওয়া একমাত্র রাস্তাটি দখলে নেয়ার চেষ্টা চালায় হামিজার গংরা।
এ ঘটনায় পরিবার ৬টি'র পক্ষে বেলাল হোসেন বাদি হয়ে গত ১৬ অক্টোবর আদিতমারী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগটি পরদিন তদন্ত করে রাস্তা বন্ধ না করার অনুরোধ জানায় থানা পুলিশ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হামিজার গংরা বুধবার সকালে রাস্তায় জোরপুর্বক ঘর তুলে পরিবার ৬টির যোগাযোগ বন্ধ করে অবরুদ্ধ করে রাখেন।
রাস্তা বন্ধ করায় বাঁধা দিতে গেলে স্থানীয়দের উপর চড়াও হন হামিজার গংরা। অবশেষে স্থানীয়রা আদিতমারী থানা পুলিশকে অবগত করেন।
মহিষখোচা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক হোসেন চৌধুরী বলেন, অনেক চেষ্টা করেও গ্রাম আদালতে হামিজারকে হাজির করা যায় নি। তাই পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে অবগত করা হয়েছে।
আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) হরেশ্বর রায় জানান, তদন্ত করার সময় রাস্তা বন্ধ না করতে বলার পরেও পরিবারগুলোকে অবরুদ্ধ করায় ঘটনাস্থলে অফিসার পাঠানো হয়েছে।