রোববার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত এই ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।সুমন, বাবুল, বাবু, আলমসহ কয়েকজন ইজিবাইক মালিক ও চালক জানান, দিনাজপুর শহরে প্রায় ৩২ হাজার ব্যাটারীচালিত অটোবাইক ও অটোরিক্সা চলাচল করে। এর মধ্যে শুধু পৌর শহরেই চলাচল করে প্রায় ২০ হাজার ইজিবাইক।
দিনাজপুর পৌরসভা ৪ হাজার অটোবাইককে লাইসেন্স দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। নানা কারণে এই লাইসেন্স করতে অনিহা প্রকাশ করে অনেক ইজিবাইক চালক ও মালিকেরা। ফলে ২ হাজার ৮শ’ ইজিবাইকের মালিক লাইসেন্স করলেও পৌরসভার সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী আরো ১ হাজার ২শ ইজিবাইকের লাইসেন্স হয়নি।
সাম্প্রতিক সময় দিনাজপুর শহরে অসহনীয় যানজোট এড়াতে জেলা আইনশৃংখলা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শহরে শুধু লাইসেন্সধারী ইজিবাইক-অটোবাইক চলাচল করার সিদ্ধান্ত হয়। এই সিদ্ধান্তের আলোকে দিনাজপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে মাইকিং করে ২০ অক্টোবরের মধ্যে লাইসেন্সবিহীন ইজিবাইক-অটোবাইক চলাচল বন্ধ করতে বলা হয়।
অপরদিকে লাইসেন্সধারী ইজিবাইক ও অটোবাইক চালক ও মালিকেরা শহরের ৫টি প্রবেশ মুখে অবস্থান নিয়ে গত ৪/৫ দিন ধরে গ্রাম থেকে আসা লাইসেন্সবিহিন ইজিবাইক ও অটোবাইককে শহরে প্রবেশে বাধা দেয়। এ নিয়ে কয়েকদিন ধরে চালক ও মালিকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
এরই ধারাবাহিকতায় রোববার (২২ অক্টোবর) সকাল ১০টায় অটোবাইক চালক ও মালিক সমিতি সদর উপজেলা শাখার সদস্যরা (লাইসেন্সবিহিন) চেরাডাঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে একত্রিত হয়ে মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যায়। সেখান থেকে তাদেরকে মেয়রের কাছে যেতে বললে তারা দিনাজপুর পৌরসভায় যায়। এ সময় তারা দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলমকে স্মারকলিপি প্রদান করে। স্মারকলিপিতে তারা পৌরসভা থেকে অথবা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে লাইসেন্স প্রদান, সদর উপজেলার অটোবাইকগুলোকে শহরসহ সব জায়গায় চলাচল করার অনুমতি প্রদানের দাবী জানায়।
স্মারকলিপি প্রদানের পর ইজিবাইক চালকরা মিছিল নিয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে। এ সময় মিছিলকারীরা শহরের ষষ্টিতলা মোড়, বালুয়াডাঙ্গা মোড়, মডার্ণ মোড়, ঘাষিপাড়া বটতলা মোড়, থানা মোড়সহ শহরের বিভিন্ন স্থানে চলাচলকারী শতাধিক অটোবাইক ভাংচুর করে। এতে সারা শহরে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। বেলা ১টা পর্যন্ত তারা শহরে অবস্থান নিয়ে অটোবাইক চলাচলে বাধা দেয়। ফলে শহরে অটোবাইক চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শহরে ইজিবাইক-অটোবাইক চলাচল বন্ধ ছিল। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
এ ব্যাপারে জানতে দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলমকে কয়েক দফা মোবাইল করলে তাঁর মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।