মঙ্গলবার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নানান কর্মসূচি পালন করে দলটি।
১৯৭২ সালের এ দিনে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব প্রদানের অহংকারে গর্বিত বিপ্লবী তরুণ যুব সমাজের অগ্রগামী বৃহত্তর অংশ সামাজিক বিপ্লবের মাধ্যমে সমাজতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার দৃপ্ত প্রত্যয়ে ক্ষমতার সকল মোহ ত্যাগ করে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ গঠন করেন। এ দিন মুক্তিযুদ্ধের ৯ নং সেক্টর কমান্ডার মেজর এম এ জলিল অব.এবং মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের অন্যতম নেতা আ স ম আবদুর রবকে যুগ্ম -আহ্বায়ক করে জাসদের প্রথম কমিটি ঘোষিত হয়।
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই জাসদ ক্ষমতাসীন শাসক-শোষক-প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তীব্র গণআন্দোলনের সূচনা করে এবং আজ পর্যন্ত শোষণ-বৈষম্য-অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা অব্যাহত রেখেছে। জাসদের এ সুদীর্ঘ সংগ্রামে হাজার-হাজার নেতা-কর্মী বিভিন্ন আমলে ক্ষমতাসীনদের দ্বারা নির্যাতিত-নিপীড়িত-ক্ষতিগ্রস্থ কারারুদ্ধ ও শহীদ হয়েছেন।
বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে কোন রাজনৈতিক দলের এত নেতা-কর্মীর আত্মবলিদান ও ত্যাগ স্বীকারের নজির নেই। জাসদ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিপ্লবী সংগ্রাম গড়ে তোলার পাশাপাশি ’৭৩ এর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে এবং উল্লেখযোগ্য ভোট পায়, বিজয়ী ঘোষিত হবার পরও ক’জন জাসদ প্রার্থীর বিজয় কেড়ে নেয়া হয়।’৭৫ সালে বাকশালে যোগদান না করায় জাসদ দলীয় সংসদ সদস্যদের সংসদ সদস্য পদ বাতিল করা হয়। জাসদ বাকশাল ব্যবস্থার বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক সংগ্রাম পরিচালনা করে। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খন্দকার মোশতাকের অবৈধ ক্ষমতা দখলের বিরুদ্ধেও জাসদ প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ’৭৫ এর নভেম্বরে উচ্চাভিলাষী সামরিক অফিসারদের ক্যু-পাল্টা ক্যুর বিরুদ্ধে কর্নেল তাহেরের নেতৃত্বে ৭ নভেম্বর মহান সিপাহী-জনতার অভ্যূত্থান সংগঠিত করে।
কর্মসূচিতে জেলা জাসদ ও মহানগর এবং এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের সকল নেতাকর্মী ও সমর্থকরা একটি বনাঢ্য র্যালি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে রংপুর প্রেস ক্লাবে এসে এক মানব্বন্ধন সমাবেশ করেছে। উক্ত মানবন্ধন ও সমাবেশ এবং র্যালিতে উপস্থিত ছিলেন, জেলা জাসদ সভাপতি এডভোকেট মুকুলের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, ছাত্র নেতা সঞ্জিত রায়, একে এম মুহিত, আওয়ামীলীগ নেতা রেজাউল ইসলাম মিলন, জাসদ নেতা বীরমুক্তিযোদ্ধা আঃ সাত্তার, গৌতম রায়, শাহীনুর রহমান বাদল, আখতারুজ্জামান মওলা, সাব্বির আহম্মেদ, মাসুদুন্নবী মুন্নাসহ অন্যান্য বিভিন্ন পেশাজীবি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ।