রবিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. জিয়াউর রহমান এ দণ্ডাদেশ দেন। মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া খাইরুল ইসলাম (৪৫) বেগপুর গ্রামের শের মোহাম্মদের ছেলে।
একই মামলায় খাইরুলের প্রথম স্ত্রী জুলেখাকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী কৌঁসুলি আঞ্জুমান আরা জানান, পারিবারিক বিষয় নিয়ে ২০১৫ সালের ৮ জানুয়ারি খাইরুল ও তার প্রথম স্ত্রী জুলেখার সঙ্গে দ্বিতীয় স্ত্রী পালনী ওরফে কুলসুমের ঝগড়া হয়। ওই রাত ১২টার দিকে মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত ও শ্বাসরোধ করে কুলসুমকে হত্যা করেন দুজন। পরে তার লাশ পার্শ্ববর্তী আমবাগানে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলিয়ে রাখেন তারা। পরের দিন ভোর ৬টার দিকে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ৯ জানুয়ারি খাইরুল ও জুলেখার বিরুদ্ধে গোমস্তাপুর থানায় হত্যা মামলা করেন আইনুল হক আনু নামের এক ব্যক্তি।
আঞ্জুমান আরা আরো জানান, ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) ও গোমস্তাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এস এম সাইফুল আলম তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ১৫ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে দুই বছরের বেশি সময় ধরে ১১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বিচারক আসামিদের উপস্থিতিতে আজ দণ্ডাদেশ দেন।