বিআরডিবি এর আওতাধীন “উত্তরাঞ্চলের দরিদ্রদের কর্মসংস্থান নিশ্চিতকরণ কর্মসূচী(উদকনিক)-২য় পর্যায়” প্রকল্পের মাধ্যমে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত উপকারভোগীদের তৈরীকৃত পণ্য সমূহ বাজারজাত করণের লক্ষ্যে এক উদ্ধত্বকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল সোমবার (২০ নভেম্বর) বিকাল ৪টায় হস্তশিল্প বিক্রয় কেন্দ্র শাম্মী হ্যান্ডিক্রাপ্টস এর আয়োজনে কিশোরীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ হলরুমে উক্ত সভায় বিআরডিবি ইউসিসিএ লিঃ এর ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসার আল-মিজানুর রহমান।
বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, সহকারী পল্লী উন্নয়ন অফিসার জাহাঙ্গীর হোসাইন, শাম্মী হ্যান্ডিক্রাফট এর সত্ত্বাধীকারী শাম্মী আক্তার, সাইফুল ইসলাম, সাংবাদিক শামীম হোসেন বাবু প্রমূখ।
উদকনিক প্রকল্পের প্রডাকশন ম্যানেজার এ.এইচ.এম রায়হান জানান, কিশোরীগঞ্জ উপজেলার হতদরিদ্র, বিধবা, স্বামী পরিত্যাক্তা, তালাক প্রাপ্তা ও সংখ্যালঘু নারীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করার জন্য ২০১২ সাল থেকে অদ্যাবদী ৮১৬জন নারীকে সেলাই প্রশিক্ষণ, এমব্রয়ডারী, নকশী কাঁথা, ব্লক বাটিক ও শতরঞ্জি ট্রেডে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। ঐ সমস্ত নারীরা প্রশিক্ষণ নিয়ে বাড়ীতে পাপস, মেয়েদের ভ্যানিটি ব্যাগ, পুথির ফুলদানী, টিস্যু বক্্র, থ্রি পিছ, শাড়ী এবং বিভিন্ন ধরনের শো-পিছ তৈরী করে আসছে। তাদের উৎপাদিত পণ্য সমূহ ন্যায্য দামে ক্রয় করে শাম্মী হ্যান্ডি ক্রাফট দেশের বিভিন্ন জায়গায় বাজারজাত করবে।
উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসার আল-মিজানুর রহমান বলেন, “দারিদ্র বিমোচনে বিআরডিবি” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে নিয়ে বিআরডিবির আওতায় উদকনিক প্রকল্পের প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত উপকারভোগীদের উৎপাদিত পণ্য জাতে ন্যায্য মুল্যে বিক্রি হয় সে ব্যাপারে তাদের কে সহযোগীতা করার জন্য শাম্মী হ্যান্ডি ক্রাফট এর সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম মেহেদী হাসান বলেন, বিআরডিবি’র উদকনিক প্রকল্প থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে হত দরিদ্র, বিধবা, তালাকপ্রাপ্ত নারীরা যে সমস্ত পণ্য উৎপাদন করছে তা বাজার জাত করনের জন্য উপজেলার বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের সাথে ইতোপূর্বে আলোচনা করা হয়েছিলো। সেই প্রেক্ষিতে শাম্মী হ্যান্ডি ক্রাফট আগ্রহ প্রকাশ করায় আমি তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। পাশাপাশি এই সমস্ত দরিদ্র নারীদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করার ফলে একদিকে যেমন তাদের দারিদ্রতা হ্রাস পাবে অন্য দিকে বাকীরা উৎসাহ পাবে এবং কিশোরীগঞ্জ উপজেলার অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে।