এখন পর্যন্ত ছয় বাংলাদেশি ক্রিকেটার ঘুরে এসেছেন বিতর্কিত এই ঘর থেকে। যার মধ্যে ‘সরি’ সাঁকোতে চড়ে পার পেয়েছেন মাশরাফি-শুভাশিস যুগল। বাকি চারজন-ঢাকা ডায়নামাইটসের কাপ্তান সাকিব আল হাসান, সিলেট সিক্সার্সের মারকুটে ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমান, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস অধিনায়ক তামিম ইকবাল এবং একই দলের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান লিটন কুমার দাস আছেন ‘নিষিদ্ধ’ তীরে। অর্থাৎ আর একটা করে ডিমেরিট পয়েন্ট পেলেই এক ম্যাচ নিষিদ্ধ হবে এই চার টাইগার ক্রিকেটার।
ইতোমধ্যে সাকিব-সাব্বির-তামিম-লিটনরা শাস্তি ভোগ করেছেন। ম্যাচ ফি’র ৫০ শতাংশ জরিমানা প্রত্যেকেরই গুনতে হয়েছে। তবে ভবিষ্যৎ হুঁশিয়ারি হিসেবে নিষেধাজ্ঞার মুখে আছেন এই চার দেশি। চলতি টুর্নামেন্টে সাকিব-সাব্বির-তামিম-লিটন আবারও যদি এমন কোনো ঘটনার জন্ম দেন, সোজা বাঁধা পড়বেন নিষেধাজ্ঞার শেকলে।
কী করেছিল সাকিব-তামিম-সাব্বির-লিটন? গত ৫ নভেম্বর সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড় ও আম্পায়ারের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্ম দেন সাব্বির। তার বিরুদ্ধে আম্পায়ার মাহফুজুর রহমানকে গালি দেওয়ার অভিযোগও উঠে।
বিপিএলের ২০তম ম্যাচ চলাকালীন রংপুর রাইডার্সের ব্যাটসম্যান রবি বোপারার বিপক্ষে কট বিহাইন্ডের আবেদন করেন তামিম-লিটন। কিন্তু আম্পায়ার সেই আবেদনে সাড়া দেননি। তাতেই ক্ষেপে যান তামিম-লিটন। এরপর গেল সোমবার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস ইনিংসের নবম ওভারের পঞ্চম বলে ইমরুল কায়েসের বিপক্ষে এলবিডব্লিউর জোরাল আবেদন করেন সাকিব। আম্পায়ার মার্টিনেজ তাতে সাড়া না দিলে মেজাজ হারিয়ে দৃষ্টিকটু প্রতিক্রিয়া দেখান বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
প্রসঙ্গত, ‘আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ’ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) খেলোয়াড় আচরণবিধিতে যেটা লেভেল থ্রি আইন ভাঙার মত অপরাধ। যে অপরাধের শাস্তি, ম্যাচ ফির অর্ধেক জরিমানার সঙ্গে তিনটি করে ডিমেরিট পয়েন্ট।