আর্কাইভ  শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪ ● ৭ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: লালমনিরহাটে মোবাইল ফোনে কথা বলছিল, হঠাৎ পিছন থেকে ট্রেনের ধাক্কায় কাটা পড়লেন যুবক       ঠাকুরগাঁওয়ে নিখোঁজের ২ দিন পরে ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার       ছুটি বাড়ল সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে       ডিমলা উপজেলা নির্বাচন॥ এমপির ভাই, ভাতিজা ও ভাতিজি বউ প্রার্থী-তৃণমূলে ক্ষোভ       কিশোরী গৃহকর্মীকে খুন্তির ছ্যাকা; রংপুর মেডিকেলে মৃত্যু যন্ত্রণায় পাঞ্জা লড়ছে নাজিরা      

 width=
 

ফলোআপ-সৈয়দপুরের বিএনপি নেতা সহ জোড়া খুনের ঘটনায় মামলা দায়ের

বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০১৭, দুপুর ০৪:২৫

সৈয়দপুরে বিএনপি নেতাকে ও এক তরুনী সহ জোড়া খুনের চাঞ্চল্যকর ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নীলফামারী জেলার মর্গে লাশ দুইটির ময়না তদন্ত করা হয়েছে। এ ঘটনর সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করছে। তবে আজ বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত কাউকে আটক কর সম্ভব হয়নি। গতকাল বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এ্ই জোড়া খুনের ঘটনাটি ঘটেছিল নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার জসিম বাজার দোলাপাড়া মহল্লার এক ভাড়া বাড়িতে। দূর্বৃত্বরা তাদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যার পর ধারালো অস্ত্র ফেলে পালিয়ে যায়। হত্যার শিকার এই দুইজন হলো দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলা শহর সংলগ্ন সরকারপাড়া গ্রামে পিতার মৃত মনসুর আলীর ছেলে মামনুর রশিদ (৩৫) ও একই উপজেলা শহরের পোড়াভিটা গ্রামের মহেবুল ইসলামের মেয়ে সাথী আরা (২৭)। এরা দুইজনেই মামাতা ও ফুফুতো ভাই বোন। এ ছাড়া মামনুর রশিদ পার্বতীপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ স¤পাদক ও প্রতিষ্ঠিত তেল ব্যবসায়ী। আর সাথী আরা রংপুরের একটি কলেজের অর্নাসের শিার্থী। বিভিন্ন সুত্র জানায়, সাথী আরাকে মামুন বিয়ে করায় সে ছিল মামুনের দ্বিতীয় স্ত্রী। তবে মামুনের পরিবার তাদের বিয়ের ঘটনাটি অস্বীকার করেছে। কারন মামুনের প্রথম স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। তবে এটিযে নারী ঘটিত ঘটনায় হত্যাকান্ড তা নীলফামারী পুলিশ সুপার জাকির হোসের খান ধারনা করছে। দিকে এ ঘটনায় মামুনের বড় ভাই আব্দুর রশীদ বাদী হয়ে সৈয়দপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে (মামলা নম্বর ২২)। সৈয়দপুরের এই জোড়া খুনের ঘটনাটি এলাকায় আলোড়ন সৃস্টি করেছে। সৈয়দপুর থানার ওসি শাহজাহান পাশা জানান, যে বাড়িটি জোড়া খুনের ঘটনটি ঘটেছে সেটি সৈয়দপুর শহরের কার্ডিকেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের স্বত্বাধিকারী ডাঃ তৌফিক ইমামের স্ত্রী নাদিরা আক্তারের। তিনি ওই বাসাটি পেট্রোল পা¤প কর্মচারী শিবলী সাদিক ও তার স্ত্রী শান্তাকে ভাড়া দিয়েছিল। এই দম্পক্তির একটি সন্তানও রয়েছে। তবে খুনের পর থেকে শিবলী সাদিক ও তার স্ত্রী পলাতক রয়েছে। বিশেষ করে এই দম্পক্তিকে আটকের চেষ্টা চলছে। প্রাথমিক তদন্তে ধারনা করা হচ্ছে জোড়া খুনের সময় এই দম্পক্তি সহ আরো তিনজন যুবক অংশ নিয়েছিল।

মন্তব্য করুন


 

Link copied