উত্তরবঙ্গের নীলফঅমারীর সৈয়দপুর উপজেলায় সর্ববৃহত্তম জাশনে জুলুস ঈদ ঈদে মিলাদুন্নবী (দঃ) পালন করা হয়েছে। আজ শনিবার সকাল থেকে বিভিন্ন পাড়া মহল্লা, মসজিদ, খানকাহ থেকে খন্ড খন্ড মিছিলটি সৈয়দপুর রেলওয়ে ময়দানে এসে জমায়েত হয়। এ সময় আজকে মোদের খুশির দিন,বিশ্ব নবীর জন্মদিন, বিশ্ব নবীর আগমন-শুভেচ্ছা স্বাগতম ইত্যাদি শ্লোগানে প্রক¤িপত হয় পুরো সৈয়দপুর রেলওয়ে মাঠ। প্রত্যেকের হাতে শোভা পাচ্ছিল সবুজ ও কালেমা খচিত পতাকা। পরে সম্মিলিতভবে আঞ্জুমানে গাউসিয়া আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত সৈয়দপুর এর ব্যবস্থাপনায় বিশাল এই জাশনে জুলুসটি সৈয়দপুর রেলওয়ে মাঠে হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদনি করে। উত্তরবঙ্গের সর্ববৃহত এ জাশনে জুলুসে শহরের বিভিন্ন ধর্মীয়, সামাজিক সংগঠনের পাশাপাশি রাজনৈতিক ব্যক্তিরাও অংশগ্রহন করেন। গাউসিয়া কমিটি, আহলে বাইত ফাউন্ডেশন, আঞ্জুমানে আশরাফিয়া, ফায়জানে তেগিয়া, ফায়জানে ইমামে আজম আবু হানিাফা, আঞ্জুমানে আউলিয়া, সহ শহরের সব তরিকতপন্থি খানকা ও বিভিন্ন পাড়া মহল্লাসহ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত অনুসারী হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলমান বিরাট এ জাশনে জুলুসে অংশগ্রহন করেন।
পরে জুলুস শেষে সৈয়দপুর রেলওয়ে ময়দানে সংপ্তি মিলাদ আলোচনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন, ভাইস চেয়ারম্যান আজমল হোসেন, সাবেক পৌর মেয়র আখতার হোসেন বাদল, সাবেক প্যানেল মেয়র হিটলার চৌধুরী ভলু প্রমুখ। এছাড়া জুলুসে উপস্থিত ছিলেন সৈয়দপুর পৌর মেয়র অধ্য আমজাদ হোসেন সরকার। শুরুতে কুরআন তিলাওয়াত করেন ঐতিহাসিক চিনি মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা শাহিত রেজভী, বয়ান করেন মাওলানা রিজওয়ান আল কাদেরী, মাওলানা মঈনুল ইসলাম আল কাদেরী, মাওলানা মোহাম্মদ আলী মিসবাহী এবং নাত পরিবেশন করেন শহরের প্রসিদ্ধ নাতখাঁ হায়দার আলী এমাদী ও আনোয়ার আশরাফী।
বয়ানের পর পরই সালাতো সালাম শেষে সারা বিশ্বে নির্যাতিত মুসলিমদের জন্য, দেশ জাতির কল্যানে মোনাজাত করেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত এর জেলা শাখার সভাপতি আলহাজ শাহ সুফী গোলাম জ্বীলানী তেগী। অনুষ্ঠান চলে দুপুর পর্যন্ত।
উল্লেখ্য যে, বিশ্ব নবী হযরত মুহাম্মদ (দঃ) এর পবিত্র মিলাদুন্নবী সৈয়দপুরে যথাযথ মর্যাদা আর ধর্মীয় ভাবগাম্ভির্যের মধ্য দিয়ে পালিত হয়ে থাকে। মিলাদুন্নবীর চাঁদ দেখার সাথে সাথে শহরের বিভিন্ন সড়কে নির্মান করা হয় বড় বড় তোরন। মসজিদ মাদ্রাসা পাড়া মহলাকে করা হয় বিশেষ আলোকসজ্জা। শহরের প্রতিটি মসজিদে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।