আর্কাইভ  শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪ ● ৭ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: নীলফামারীতে গোপন বৈঠক থেকে জামায়াতের ৩ নেতা গ্রেপ্তার       পলাশবাড়ীতে আসামির ছুরিকাঘাতে বাদীর মৃত্যু, গ্রেফতার ১       মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান-স্বজনের ভোটে না দাঁড়ানোর নির্দেশ       ভোজ্যতেলের দাম বাড়ল, খোলা তেলে সুখবর       বিএনপি নেতা সোহেলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে রংপুরে  মানববন্ধন ও সমাবেশ       

 width=
 

সৎ যোগ্য,জনকল্যাণে নিবেদিত বিনয়ী প্রার্থী হোক রংপুর সিটি মেয়র

সোমবার, ৪ ডিসেম্বর ২০১৭, দুপুর ০২:৪১

আফতাব হোসেন

দেড়শো বছর আগে পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর রংপুর নগরীতে উন্নয়নের ছোয়া লাগতে শুরু করে। কিন্তু নেতৃত্বের গুনাবলির অভাব,নির্ভিক ও ত্যাগী নেতাদের এগিয়ে না আসা এবং রাষ্ট্রীয় ও রাজনৈতিক বৈষম্যের কারনে যোগাযোগ অবকাঠামো,গ্যাস, বিদ্যুৎ সমস্যা পরিকল্পিত ও পরিচ্ছন্ন নগরী গড়া সম্ভব হয়নি এত বছরেও। ফলে নাগরিক অধিকার ও নাগরিক প্রত্যাশা পূরণে এখনো বঞ্চিত জেলা ও নগরবাসি। আশার কথা ছয় বছর আগে রংপুর পৌরসভা সিটি কর্পোরেশনে উন্নিত হওয়ায় আশান্বিত হয়েছে রংপুর বাসি-এই ভেবে যে দেশের অন্য অঞ্চল থেকে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্টী তাদের হারানো ঐতিহ্য ফিরে পেয়ে আধুনিক ও উন্নত নাগরিক জীবনের স্বাদ পাবে।

রংপুর পৌরসভা তার আয়তনের চারগুন বর্ধিত হয়েছে। ৫২ বর্গ কিঃ মিঃ এর আয়তন বেড়ে হয়েছে ২০৭ বর্গ কিঃ মিঃ। ১৫ টি ওয়ার্ড থেকে বর্ধিত হয়ে ৩৩টি ওয়ার্ডে পরিনত হয়েছে। ফলে সদর উপজেলার ৭ টি এবং পীরগাছা,কাউনিয়া ও গংগাচড়ার ৩ টি ইউনিয়নের আংশিক নিয়ে ৩ গুন বর্ধিত হয়েছে। এতে জনসংখ্যা,ভোটার বৃদ্ধির সাথে সাথে নাগরিক প্রত্যাশাও বেড়েছে অনেক গুন। ২০১২ সালে সিটি কর্পোরেশনের প্রথম নির্বচন অরজনৈতিক হওয়ায় মেয়াদ শেষে দ্বিতীয় নির্বাচন দলীয় প্রতিকে রাজনৈতিক হওয়ায় নাগরিকদের চাওয়া পাওয়া,প্রত্যাশা প্রাপ্তি নিয়ে বহুমাত্রিক চাহিদার সৃষ্টি হয়েছে।

এই নির্বাচনে সরকারীদল আওয়ামীলীগ,বিরোধী দল বিএনপি,জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের দূর্গ বলে খ্যাত জাপা প্রার্থী,ইসলামী শাসনতন্ত্র,বাসদ,এনপিপি সহ মনোনয়ন দাখিল করা ১৩ জন প্রার্থীর মধ্যে ৭ জন প্রার্থী ৩ ডিসেম্বর প্রত্যাহারের আগ পর্যন্ত ভোটের মাঠে লড়াইয়ে আছেন। এদের মধ্যে সতন্ত্র প্রার্থীও রয়েছেন। ২১ শে ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে মেয়র পদে কেমন প্রার্থী চান নাগরিক ও ভোটাররা তাই এখন প্রধান আলোচ্য বিষয়। একই সাথে মূল বিবেচ্য বিষয় হচ্ছে কেমন মেয়র চান ভোটাররা,তার কি কি গুনাবলি ও দক্ষতা-যোগ্যতা থাকা উচিৎ তার চুলচেরা বিশ্লেষন হচ্ছে নাগরিক সমাজ ও সুধী মহলে।

নির্বাচনী প্রচারনায় অনেকে নিজেকে সৎ যোগ্য ও নগরবাসির উন্নয়ন,প্রত্যাশা-চাহিদা অনুযায়ি দ্বায়িত্ব পালনের প্রতিশ্রুতি দেন। সু-শাসনের জন্য নাগরিক সুজনের পক্ষ থেকেও মেয়র ও কাউন্সিলর পদের প্রার্থীদের যোগ্যতা গুনাবলি এবং ভোটার ও নাগরিকদের প্রত্যাশা পূরণে কিকি করনীয় তা তুলে ধরে জনতার মুখোমুখি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। গত নির্বাচনে হয়েছে,এই নির্বাচনেও হচ্ছে। এর মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে,সৎ যোগ্য,জনকল্যাণে নিবেদিত দক্ষ একজন নেতৃত্বের গুনাবলি সম্পন্ন নেতা যিনি সচ্ছতা,জবাবদিহিতার সাথে তার দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করবেন এবং নগরবাসির প্রত্যাশা অনুযায়ি সময় ও সম্পদের সদ ব্যবহার করে পরিকল্পিত,সৌন্দর্য্য বর্ধিত ,পরিচ্ছন্ন,নিরাপদ বাসযোগ্য নগর গড়ে তুলবেন। একই সাথে বর্ধিত এলাকা সহ যেগাযোগ অবকাঠামো নির্মান,ময়লা আবর্জনা পরিস্কার, পানি নিস্কাষন,বিদ্যুৎ,হাট বাজার, ব্যবসা কেন্দ্রে নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা, ভেজাল নিয়ন্ত্রন, ভোক্তা অধিকার পূরণ,শিক্ষা স্বাস্থ্য,কর্মসংস্থান,শিশুদের চিত্ত বিনোদন,সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের বিকাশ,মাদক,বাল্য বিবাহ,যৌতুক মুক্ত,নির্মল পরিবেশ ও ভুমিকম্প সহনিয় নগরী,যানজট মুক্তনগরী,শ্যামা সুন্দরী খালের দৃষ্টি নন্দন আধূনিকায়ন ও বিকল্প সড়ক,যানবাহনের পরিকল্পিত ষ্ট্যান্ড,নাগরিক নিরাপত্বা বৃদ্ধি,বর্ধিত এলাকায় রাজস্ব আদায়ের তুলনায় উন্নয়ন ও নিরাপত্বা নিশ্চিত করার বিষয় গুলো গুরুত্ব পাচ্ছে। একই সাথে নাগরিকদের সেবা সমুহ হয়রানি ও ভোগন্তি ছাড়া নিশ্চিত করা এবং নাগরিকদের সামর্থ্য অনুযায়ী রাজস্ব আদায় ও উন্নয়ন সহায়তা তহবিল সহ টেন্ডার এবং সকল নিয়োগ কাজে আইন ও বিধি যথাযথ পালনের বিষয়টিও গুরুত্বের সাথে দেখছেন নাগরিকরা।

নাগরিকদের চাহিদা ও প্রত্যাশা অনুযায়ী সিটি কর্পোরেশন যথাযথ সেবা প্রদান করবে এমন একজন বিনয়ী,কর্মঠ,সৎ নিষ্ঠাবান যোগ্য মেয়র চান নগর বাসি।

লেখক: সাধারন সম্পাদক, সুজন, রংপুর জেলা।

মন্তব্য করুন


 

Link copied