আটককৃত সাজ্জাদুল করিম (টিপু) সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চন্ডিপুর এ টি এন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিষয়ক সহকারী শিক্ষক। নির্যাতিত ছাত্রীর অভিযোগ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারী মাসে বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষক সাজ্জাদুল করিম (টিপু) সাজেশন দেওয়ার কথা বলে তাকে ছুটির পরে থাকতে বলে। এ সময় তিনি বাথরুমে গেলে অভিযুক্ত শিক্ষক তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ ও ভিডিও চিত্র ধারণ করে। তাকে কিছু দিন পর পর ধর্ষণ করার চেষ্টা করলে কয়েক মাস পর বিষয়টি তার ঘনিষ্ঠ বান্ধবীকে বলে। এ বছরের নভেম্বর মাসে তার জন্ম দিনে বান্ধবীরা বিষয়টি তার পরিবারকে জানান। ছাত্রীর বাবা গত ২৯ নভেম্বর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক রাজা’র কাছে লিখিত অভিযোগ করেন । কিন্তু প্রধান শিক্ষক অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করে ছাত্রীটিকে বিদ্যালয় থেকে ছাড়পত্র দেয়।
বিষয়টি জানাজানি হলে গত ৩ ডিসেম্বর রবিবার এলাকাবাসী উক্ত শিক্ষকের অপসারণসহ দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম গোলাম কিবরিয়া বলেন তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেযা হবে এবং নির্যাতিত ছাত্রীকে আইনী সহায়তা দেওয়া হবে। এরই ধারাবাহীকতায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম গোলাম কিবরিয় বিকালে তাঁর কার্যালয়ে উভয় পক্ষকে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে অভিযুক্ত শিক্ষক টিপু তার অপকর্মের কথা স্বীকার করেন। এব্যাপারে নির্যাতিতার বাবা বাদী হয়ে সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। থানা অফিসার ইনচার্জ আতিয়ার রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান আসামী টিপুকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
