দলীয় প্রার্থী ঘোষণার দু-তিন মাস আগে থেকে সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের জেলা ও মহানগরের ১৭ নেতা ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিজেদের প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেন। তারা নিজেদের পক্ষে মাঠও গুছিয়ে এনেছিলেন। তফসিল ঘোষণার পর আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটি সম্ভাব্য প্রার্থীদের ঢাকায় ডেকে তাদের সাক্ষাৎকার নেয়। সাক্ষাৎকার শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সাবেক মেয়র সরফুদ্দীন আহমেদ ঝন্টুর নাম ঘোষণা করেন। মনোনয়ন না পেয়ে সম্ভাব্য প্রার্থীরা অভিমান করেছিলেন। তারা মুখে ঝন্টুর পক্ষে কাজ করার কথা বললেও মাঠে দেখা যায়নি। এর পর কেন্দ্রীয় নেতারা স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলে তাদের মান ভাঙান। তারা স্থানীয় নেতাদের বলেন, প্রার্থী যেই হোন না কেন নৌকার মান বাঁচাতে কাজ করতে হবে। ঢাকা থেকে আওয়ামী লীগের ২৩ সদস্যের একটি দলও নৌকার পক্ষে কাজ করতে রংপুরে আসছে। এতে ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতারা উজ্জীবিত হয়েছেন। তারা নৌকাকে জেতাতে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন।
নগরীর শেখপাড়ার স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মী আবু হেনা ও বরকত উল্লাহ বলেন, সরফুদ্দীন আহমেদ ঝন্টুকে নৌকা প্রতীক দেওয়ার পর আমাদের নেতাকর্মীরা মনঃকষ্টে ছিলেন। তারা প্রচারের পরিবর্তে ঝিমিয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে তারা আবার মাঠে নেমে পড়েছেন। এখন তারা বলছেন, বিপুল ভোটে নৌকাকে বিজয়ী করতে হবে। নৌকার মান রক্ষা করতে হবে।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, রংপুর হচ্ছে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। আমাদের সরকারের আমলে রংপুরের যে উন্নয়ন হয়েছে তা অন্য কোনো সরকারের আমলে হয়নি। রংপুরের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আলাদা টান রয়েছে। নৌকাকে বিজয়ী করতে সব নেতাকর্মীকে নিয়ে আমরা মাঠে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় নেতারাও থাকছেন। ইনশাল্লাহ ২১ ডিসেম্বর নৌকা মার্কা বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে।