শুক্রবার সকালে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছিলেন তিনি। এ সময় তিনি দুর্নীতি দমন কমিশনকে খালেদা জিয়ার অবৈধ সম্পদের বিষয়ে অনুসন্ধানের আহ্বান জানান।
গত কয়েক দিন ধরেই দু্নীতির অভিযোগ নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতারা পরস্পরের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলছেন। গত বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে খালেদ জিয়ার বিরুদ্ধে সৌদি আরবে অর্থপাচারের অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো এক ভিডিওতে দাবি করা হচ্ছে ১২ দেশে খালেদার পরিবার ১২ বিলিয়ন ডলারের মালিক। এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ না হওয়ায় গণমাধ্যমকে একহাত নিয়েছেনও প্রধানমন্ত্রী।
শুক্রবার পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই তথ্যকে ডাকা মিথ্যা আখ্যা দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান। বলেন, ক্ষমা চেয়ে বক্তব্য প্রত্যাহার না হলে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে তার দল। পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘কানাডিয়ান টেলিভিশনের খবরের ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অকপটে এ বিষয়ে কথা বলেছেন।’ সরকারের কাছে সব অভিযোগের তথ্য প্রমাণ রয়েছে-এমন দাবিও করেন ওবায়দুল কাদের। বলেন, ‘শেখ হাসিনা যা বলেছেন জেনেশুনে বলেছেন। তথ্য প্রমাণ আছে বলেই বলেছেন।’
মির্জা ফখরুলের সমালোচনা করে কাদের বলেন, ‘সংবাদ সম্মেলনে যে অশ্রাব্য ভাষা ব্যবহার করেছেন সেটাই বিএনপির চরিত্রের আসল বহিঃপ্রকাশ। মির্জা ফখরুলের ওই বক্তব্য কখনও কখনও মনে হয় শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা, কখনও মনে হয় সত্যকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার চেষ্টা, কখনও মনে হয় অন্ধকারে ঢিল ছোড়ার চেষ্টা।’
কাদের বলেন, ‘সৌদি আরবের বর্তমান প্রিন্স দুর্নীতিবিরোধী অভিযান শুরু করেছেন। সেখানে ১১ জন প্রিন্স অভিযুক্ত ও কেউ কেউ গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন বলেছেন, খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, শামীম ইস্কান্দার ব্যবসায়িক কাজে অর্থ বিনিয়োগ করেছেন। সৌদি আরব, কাতারসহ ১২টি দেশে তারা বিনিয়োগ করেছেন। এই খবরে বিএনপির কেন গাত্রদাহ?’।
দুদকে গিয়ে নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করতেও বিএনপির প্রতি আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। বলেন, ‘দুর্নীতি করলে আদালতে আসতে হবে, বিচারের আওতায় আসতে হবে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সৌদি আরবে শপিং মল ও কাতারে বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণে খালেদা জিয়া, তার ছেলে তারেক রহমান, আরাফাত রহমান কোকো ও খালেদার ভাই শামীম ইস্কান্দার ১২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছেন। এই খবর আন্তর্জাতিক বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় এসেছে। বাংলাদেশি পত্রপত্রিকাও এই খবর প্রচার করেছে।’