আর্কাইভ  শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ● ৬ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: পলাশবাড়ীতে আসামির ছুরিকাঘাতে বাদীর মৃত্যু, গ্রেফতার ১       মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান-স্বজনের ভোটে না দাঁড়ানোর নির্দেশ       ভোজ্যতেলের দাম বাড়ল, খোলা তেলে সুখবর       বিএনপি নেতা সোহেলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে রংপুরে  মানববন্ধন ও সমাবেশ        খরার ঝুঁকিতে রংপুর অঞ্চল      

 width=
 

অসুন্দরের ছায়া সুন্দরগঞ্জে

শনিবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৭, দুপুর ১০:০৭

 ডেস্ক: সুন্দরগঞ্জের সাংসদরা যেন অসুন্দরের ছায়া থেকে মুক্ত হতে পারছেন না। সর্বশেষ সড়ক দুর্ঘটনায় গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সাংসদ গোলাম মোস্তফা আহমেদের মৃত্যুর পর বিষয়টি এখানকার মানুষের মধ্যে ঘুরেফিরে আলোচিত হচ্ছে। তার আগের সাংসদ মনজুরুল ইসলাম লিটন নিহত হওয়ার পর আসনটি ফাঁকা হয়েছিল। পরে লিটন হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার হন তার আগের সাংসদ কর্নেল (অব.) ডা. আবদুল কাদের খান। তার আগের সাংসদ ঘোড়া আজিজ নামে পরিচিত আবদুল আজিজ যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ড মাথায় নিয়ে পলাতক রয়েছেন। তবে সাংসদ মোস্তফার মৃত্যু সবাইকে আলোড়িত করছে, সবাই আলোচনা করছেন সড়কের নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে। গোলাম মোস্তফা আহমেদ :চলতি বছরের ২২ মার্চ অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে প্রবীণ রাজনীতিবিদ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সুন্দরগঞ্জ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা আহমেদ প্রথমবারের মতো এমপি নির্বাচিত হন। ১০ এপ্রিল শপথ গ্রহণের পর সবেমাত্র বিভিন্ন কর্মকাণ্ড শুরু করেছিলেন। একেবারে তৃণমূল থেকে উঠে আসা এই জনপ্রতিনিধি গত ১৮ নভেম্বর দুপুরে জাতীয় সংসদে যোগ দেওয়ার জন্য বাড়ি থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের লাঠিয়ারপাড়ায় দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রায় এক মাস মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে ১৯ ডিসেম্বর সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মনজুরুল ইসলাম লিটন :২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মনজুরুল ইসলাম লিটন নির্বাচিত হন। এক পর্যায় ২০১৫ সালের ২ অক্টোবর উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের গোপালচরণ গ্রামের সাজু মিয়ার ছেলে শিশু সাহাদত হোসেন সৌরভকে গুলি করে ঝড় তোলেন প্রয়াত এই সাংসদ। এরই মধ্যে ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের উত্তর সাহাবাজ গ্রামের মাস্টারপাড়ায় নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তের গুলিতে আহত হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি। পরে ধরা পড়েন এই হত্যাকাণ্ডের মূল ঘাতক এবং পরিকল্পনাকারী সাবেক সাংসদ কর্নেল ডা. আবদুল কাদের খান। আবদুল কাদের খান :২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের জাপা (এরশাদ) নেতা কর্নেল (অব.) ডা. আবদুল কাদের খান নির্বাচিত হন। উপজেলার রাজনীতিতে তার অবস্থা ছিল অনেকটা উড়ে এসে জুড়ে বসার মতো। একবার নির্বাচিত হলেও আবারও সাংসদ হওয়ার আকাঙ্ক্ষা থেকে ভাড়াটে খুনি দিয়ে মনজুরুল ইসলাম লিটনকে হত্যা করান। বর্তমানে কাদের খান গাইবান্ধা জেলা হাজতে রয়েছেন। আবদুল আজিজ :২০০১ সালে ১ অক্টোবর সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চারদলীয় জোটের শরিক দল জামায়াতের নেতা আবু সালেহ মো. আবদুল আজিজ মিয়া নির্বাচিত হয়েছিলেন। যুদ্ধাপরাধের বিচারের ধারাবাহিকতায় ২০১৩ সালে উপজেলার পাঁচগাছী শান্তিরাম গ্রামের আনিসুর রহমান ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে তার বাবা ইউপি সদস্য আকবার আলীকে হত্যার অভিযোগ এনে এই সাবেক সাংসদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আবদুল আজিজসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে করা ওই মামলার রায় হয়েছে গত ২২ নভেম্বর। রায়ে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আবদুল আজিজ পলাতক রয়েছেন।

মন্তব্য করুন


 

Link copied