আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

জ্বীনের বাদশা কেড়ে নিল অসহায় আজিজুলের শেষ সম্বলটুকু

শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩, রাত ০৯:৫৮

সরেজমিনে জানা যায়, ওই গ্রামের মৃত টেপু মামুদের ছেলে আজিজুল ইসলাম (৪৮) কে ৫ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে ০১৭৭৩৯০৭৭১৯ নং মোবাইল নম্বর থেকে জ্বীনের বাদশা নামে একজন পরিচয় দিয়ে বলেন যে, তিনি বগুড়া মহাস্থানগর মাজারে ৭৫০ বছর ধরে তার (আজিজুলের) জন্য সাথারি (সাত রাজার ধন) পাহাড়া দিচ্ছেন। সেটা আজিজুলের হাতে বুঝিয়ে দিলেই তার দায়িত্ব শেষ। বড়লোক হওয়ার আশায় আজিজুল ইসলাম তার ২টি গরু বিক্রি করেন ১০ হাজার টাকায়।

কথিত জিনের বাদশা আবার পরদিন গভীর রাতে আজিজুলকে ফোন করে বলেন যে, ওই মাজারের লোকজনকে দুটি খাসী জবাই করে আতপ চালের ভাত খাওয়াতে হবে। এজন্য ১৫হাজার ৫শ ৫১টাকা বিকাশ করে দিতে হবে। তার কথামত আজিজুল ইসলাম গরু বিক্রয়ের ১০ হাজার এবং পার্শ্ববর্তী জনৈক এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা ধার নেয়। উক্ত টাকা কোথায়, কিভাবে দিতে হবে জানতে চাইলে জ্বীনের বাদশা তাকে বগুড়া মহাস্থানগর নামক জায়গায় যেতে বলে। আজিজুল সেখানে যাওয়ার অপারগতা প্রকাশ করলে জ্বীনের বাদশা বলেন যে, রংপুর কেরামতিয়া মসজিদে দেখা করতে। কথামত তিনি গত ৮ সেপ্টেম্বর রংপুর কেরামতিয়া মসজিদে যান এবং মোবাইলের মাধ্যমে লম্বা, ফর্সা, শার্ট ও লুঙ্গি পড়া মধ্যবয়সী লোককে ডেকে তার হাতে টাকা তুলে দেন।

টাকা পেয়ে লোকটি তাকে কাগজে মোড়ানো ১টি পুতুল আজিজুল ইসলামের হাতে দিয়ে বলেন যে, বাড়ীতে গিয়ে পুতুলটি মাটির নিচে পুতে রাখতে হবে এবং দুই তিন দিন পর তুলে ৭০ টুকরা করে ১ টুকরা করে বিক্রি করতে হবে। এতে পুতুলটির দাম হবে ৭৬ লক্ষ টাকা বলে তিনি জানান। তার কথামত কাজ না করলে আজিজুল ইসলামের বড় ধরণের ক্ষতি হবে বলে জানান।

দুই তিন দিন পর আজিজুল ইসলাম মাটি থেকে পুতুলটি তুলে ১১ সেপ্টেম্বর তা ভেঙ্গে স্বর্ণকারের দোকানে গেলে দোকানদার পরীক্ষা নিরীক্ষা করে জানান যে পুতুলটি শিশার তৈরী। সাথে সাথে ওই নম্বরে যোগাযোগ করা হলে মোবাইল নম্বরটিও বন্ধ পাওয়া যায়। গরু দুটি হারিয়ে আজিজুলের বাড়ীতে চলছে এখন কান্নার রোল।

আজিজুল ইসলাম বলেন, আপনারা সবাইকে জানিয়ে দেবেন বেশি লোভ করে যেন আমার মত কেউ জ্বীনের বাদশার প্রতারণার শিকার না হয়।

মন্তব্য করুন


 

Link copied