আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪ ● ১৪ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে হবে কুড়িগ্রাম

আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে হবে কুড়িগ্রাম

 width=
 
শিরোনাম: কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা       ২৯ রমজান কি অফিস খোলা?       আজ ঐতিহাসিক রংপুর ক্যান্টনমেন্ট ঘেরাও দিবস       লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ হস্তান্তর      

 width=
 

গাইবান্ধার ঘাঘটলেক উন্নয়ন প্রকল্প বিষয়ে উদ্বুদ্ধকরণ র‌্যালী

বুধবার, ৩ জানুয়ারী ২০১৮, দুপুর ০৪:৩৩

খায়রুল ইসলাম গাইবান্ধা থেকে: আধুনিক সৃজনশীল চিত্তবিনোদন সহায়ক ও নান্দনিক গাইবান্ধা জেলা শহর গড়ে তোলার এক ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গাইবান্ধা জেলা শহরের মাঝখান দিয়ে বয়ে যাওয়া পরিত্যক্ত ঘাঘট নদীটি সংস্কার ও সৌন্দরর্যবর্ধন করে ঘাঘটলেক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এব্যাপারে ওই লেকটিকে দখলমুক্ত করাসহ ওই প্রকল্পের গৃহীত পরিকল্পনাসমূহ বাস্তবায়নে জনগণকে অবহিত ও উদ্বুদ্ধ করণের লক্ষ্যে বুধবার গাইবান্ধা শহরে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালী ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। র‌্যালীটির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পাল। র‌্যালীটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে শুরু করে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ব্রীজ রোডের ঘাঘটলেক পাড়ে গিয়ে শেষ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রাথমিক পর্যায়ে ঘাঘটলেক উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় পরিত্যক্ত এই লেকটির ৩ কি.মি. এলাকা পুনঃ খনন, ৫ দশমিক ২৭ কি.মি. লেকের পাড় সংরক্ষণ, লেকের দুই পাড়ে ৬ কি.মি. ফুটপাত নির্মাণ এবং ২টি ব্রীজ নির্মাণ করা হবে। এছাড়া দু’পাড়ে ৪টি সুন্দর ঘাটও নির্মাণ করা হবে। দু’পাশের ফুটপাত জুড়েই থাকবে ৮টি বসার বেঞ্চ এবং ৬ কি.মি. এলাকা জুড়ে বৃক্ষরোপন করা হবে। এজন্য ব্যয় বরাদ্দ করা হয়েছে সাড়ে ১৫ কোটি টাকা। যা পর্যায়ক্রমে আরও বৃদ্ধি পাবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডি। এছাড়া এই ঘাঘটলেক প্রকল্প এলাকায় দৃষ্টিনন্দন ফোয়ারা, আধুনিক আলোক সর্জ্জার ব্যবস্থা, লেকে ভ্রমণের জন্য সুদৃশ্য নৌকা এবং ভাসমান হোটেল নির্মাণের প্রকল্পও পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়িত হবে বলে জানানো হয়। র‌্যালী শেষে ব্রীজ রোড ঘাঘটলেক পাড়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পাল, পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ, পৌর মেয়র অ্যাড. শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবির মিলন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাকসুদুল আলম, পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সিদ্দিকুর রহমান, গাইবান্ধা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর সাবু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ রঞ্জু, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক প্রমতোষ সাহা, জেলা ট্রাক ও কাভার্ড শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল করিম, মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রিকতু প্রসাদ, নাট্য ও সাংস্কৃতিক সংস্থার রওশন আরা মুক্তি প্রমুখ। সভায় বলা হয়, জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পাল, পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ ও পৌর মেয়র অ্যাড. শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবির মিলন তাদের বক্তব্যে উলে¬খ করেন আধুনিক সৃজনশীল গাইবান্ধা জেলা শহর গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে ঘাঘটলেক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে আইন অনুযায়ী স্বচ্ছতা রক্ষা করে সঠিকভাবে সীমানা নির্ধারণ পূর্বক প্রকল্প এলাকার অবৈধ দখলমুক্ত করা হবে। সুতরাং সভায় অনুরোধ জানানো হয়, যারা অবৈধভাবে ঘাঘটলেক এলাকা দখল করে রেখেছেন তারা যেন অবিলম্বে তাদের স্থাপনা সমূহ সরিয়ে নেন।

মন্তব্য করুন


 

Link copied