আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

নীলফামারীতে শীতের তীব্রতা অব্যাহত

মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারী ২০১৮, রাত ০৮:২৩

চার ও ছয় হাকানোর ব্যাটিং এর মতোই শীতের ইনিংস চলছে উত্তরবঙ্গের নীলফামারী ও তার পাশ্ববর্তী এলাকা সমুহে। সোমবারের ভয়াবহতার রেশ কিছুটা কমলেও মঙ্গলবার উত্তুরী হিমবায়ুর শৈত্যপ্রবাহ বহমান ছিল। গতকাল সোমবার (৮ জানুয়ারি) নীলফামারী সৈয়দপুরে সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ২ দশমিক ৯ থাকালে মঙ্গলবার তা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়ে ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেঃসিঃ ও জেলার তিস্তা বিধৌত ডিমলায় সোমবারের ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে আজ মঙ্গলবার তা বৃদ্ধি পেয়ে ৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস উঠে। ফলে কিছুটা স্বত্বির নিশ্বাস পাওয়া গেছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর সুত্র মতে, আজ মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গের রংপুর বিভাগের আট জেলার সব্বোর্চ ও সর্ব নিম্ন তাপমাত্রা বৃদ্ধি হলেও তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ছিল। এ বিভাগের ৬টি আবহাওয়া অফিস হতে প্রাপ্ত তাপমাত্রার অংকের দিকে তাকালে দেখা যায় দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্ব্বোচ তাপমাত্রা ছিল ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অপরদিকে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্ব্বোচ তাপমাত্রা ছিল ২১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কুড়িগ্রামের রাজারহাটে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্ব্বোচ তাপমাত্রা ছিল ২০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। নীলফামারীর সৈয়দপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্ব্বোচ তাপমাত্রা ছিল ২০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্ব্বোচ তাপমাত্রা ছিল ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং রংপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্ব্বোচ তাপমাত্রা ছিল ২১ দশমিক ২ ডিগি সেলসিয়াস। সুত্র মতে, উত্তুরী হিমশীতল বায়ু ঘন্টায় ১২ কিলোমিটার বেগে চলছে। সরকারী ভাবে এপর্যন্ত ৪১ হাজার ৯৩৭ টি কম্বলবিতরন করা হয়েছে। নতুন করে আরো ৬৫ হাজার কম্বল, চাঁদর ও শিশু পোষাকের চাহিদা ত্রান মন্ত্রনালয়ে পাঠনো হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালেদ রহীম। তিনি বলেন মঙ্গলবার ত্রান মন্ত্রনালয় হতে ৫ হাজার কম্বল ও ২ হাজার শুকনা খারারের প্যাকেট বরাদ্দ পাওয়া গেছে। হাতে পাওয়া মাত্রই তা বিতরনকরা হয়। জেলা প্রশাসক জানান তীব্র শীতের কারনে প্রশাসনের পক্ষে প্রতিটি এলাকায় মনিটরিং করা হচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন বেসরকারী সংস্থা গুলোর মধ্যে আশা সাড়ে ৩শত, ইউএসটি সাড়ে আট হাজার কম্বল, জ্যাকেট, সোয়েটার ও শিশু পোষাক, শাখামাছা ফেসবুক গ্রুপ এক হাজার কম্বল ও ৫শত জ্যাকেট প্রাক্তন সৈনিক সংস্থা ৩ শত কম্বল বিতরন করে। অপরদিকে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের পক্ষে ৩হাজার ২০০ কম্বল ও ওই পরিমান পরিবারকে নগদ ৫০০ টাকা করে বিতরন করেছে। এদিকে আজ মঙ্গলবার ভোর হতে ঘন কুয়াশা থাকলেও সকাল ১০টার মধ্যে কুয়াশা কেটে যায়। তবে উত্তুরী হিমবাতাস অব্যাহত ছিল। তবে দিনের বেলা রোদের ঝিলিক পাওয়া গেলেও বিকেল হতেই শুরু হয় ঠান্ডার তীব্রতা। ভয়াবহ ঠান্ডা আবহাওয়া বিরাজ করায় এখানকার জনজীবনে নেমেছে চরম দুর্ভোগ। মানুষের সঙ্গে প্রাণীকুলও রা পাচ্ছে না এই দুর্ভোগ থেকে। হাড়কাঁপানো কনকনে ঠান্ডা ও হিমেল হাওয়ায় সবচেয়ে দুর্ভোগে পড়েছে শিশু ও বৃদ্ধরা। এখানকার গ্রাম-গঞ্জে ঠান্ডায় কাতর মানুষজন খড়কুটো জ্বালিয়ে উষ্ণ পাওয়ার চেষ্টা করছেন। ফুটপাতের পুরনো মোটা কাপড়েরর দোকানে গ্রাম-গঞ্জের এসব মানুষের ভিড়ও দেখা যাচ্ছে। এদিকে জেলার হাসপাতালসহ উপজেলা পর্যায়ের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে প্রতিদিনই বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। সিভিল সার্জন ডাঃ রনজিৎ কুমার বর্মন জানান মেডিকেল কাজ করছে গ্রামে গ্রামে। এ ছাড়া হাসপাতালে রোগীদের বিশেষভাবে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied