নিজেকে ভালোবাসা খুবই ভালো। নিজেকে ভালো না বাসলে কোনও কাজই সঠিকভাবে হয় না। এমনকী কোনও সম্পর্কই ঠিক থাকে না। কিন্তু, তা বলে নিজেকে এতটাও বেশি ভালোবাসা ঠিক না যাতে অন্য কারও সমস্যা হতে পারে। অন্য কেউ তাতে কষ্ট পায়। আপনার সঙ্গীর কাছে নিজেকে খুব সাধারণভাবে তুলে ধরুন। এমনভাবে তুলে ধরবেন না যাতে আপনার সঙ্গে কথা বলতে গেলে বা থাকতে গেলে তাঁকে দুইবার চিন্তাভাবনা করতে হবে। সম্পর্ক ঠিক রাখতে গেলে এগুলি কখনওই বলবেন না:-
১.তুমি ঠিক তোমার মায়ের মতো:
সন্তান যে বাবা-মায়ের হবে সেটা খুব স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু, তা বলে পার্টনার ভুল করলেই শুধু তাকে তার অভিভাবকদের সঙ্গে তুলনা করবেন সেটা ঠিক না। আর সব থেকে বড় বিষয় আপনার পার্টনারের অভিভাবকরা কেমন সেটা আপনাকে কেউ জাজ করতে বলেনি। বরং সঙ্গী যদি কোনও ভুল করেন তাহলে সেটা তাঁকে বোঝান।
২.আজ ভালো লাগছে না:
সব সময় যে আপনার উপরই কোনও জিনিস নির্ভর করবে সেটা ঠিক না। একদিন আপনার ভালো নাই লাগতে পারে। কিন্তু, তা বলে সব সময় যে সঙ্গী আপনার ইচ্ছেতে চলবে তার কোনও মানে নেই। কখনও নিজের খারাপ লাগাকে দূরে সরিয়ে একটু অন্যের ভালো লাগাকে দেখুন। দেখবেন সম্পর্ক ভালো থাকবে।
৩.জোর করা:
সঙ্গীকে তার সামর্থ্যের বাইরে বেরিয়ে কোনও কাজ করতে বলবেন না। সে যা কাজ পারে না সেই বিষয়টিকে বার বার জোর করার কোনও মানেই হয় না।
৪.নিজেকে জাহির করা:
আপনি কী পারেন আর সঙ্গী কী পারে না সেটা বার বার লোককে বলবেন না। এতে সঙ্গী বিরক্ত হতে পারে। নিজেকে অন্ততপক্ষে সঙ্গীর সামনে জাহির করবেন না। এতে সম্পর্কের ভিত নষ্ট হয়ে যায়।
৫.আমার বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাও:
রাগ যতই হোক না কেন, সঙ্গীকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে বলবেন না। সেক্ষেত্রে নিজে বেরিয়ে যেতে পারেন। কিন্তু, আমার বাড়ি-আমার জিনিস এই কথাগুলি খুব খারাপ। দু’জনের মধ্যে যদি জিনিস ভাগ হয়ে যায় তাহলে সম্পর্ক শেষ হয়ে যেতে পারে।
৬.আমি তোমাকে বিশ্বাস করি না:
সম্পর্কে বিশ্বাস একটা বড় বিষয়। সেখানে কথার প্রেক্ষিতে সঙ্গীতে বিশ্বাস না করার কথা একেবারেই বলবেন না। এটা ঠিক না। এতে সম্পর্কের বিশ্বাস পুরোপুরি ভেঙে যায়। সে যদি কিছু নাও করে তাহলে তার মন আরও ভেঙে যায়। সেই মন গড়ে তোলা খুব কঠিন।
৭.আমি সব কথা শেয়ার করতে চাই না:
আপনি আপনার সব কথা শেয়ার নাই করতে পারেন। কিন্তু, সম্পর্কে থাকলে দু’জনেরই একে অপরের কাছে কিছু কথা শেয়ার করা খুব দরকার। না হলে সম্পর্কের ভিত ঠিক থাকে না। তাই ইচ্ছে না হলেও কয়েক সময় আপনার কিছু কথা শেয়ার করতে পারেন। এতে সঙ্গীরও ভালো লাগবে।
৮.বেশি রিঅ্যাক্ট করার কিছুই নেই:
কোনও বিষয় কতটা রিঅ্যাক্ট করা দরকার সেটা আপনি ঠিক নাও করতে পারেন। ধরুন আপনি কোনও ভুল করেছেন আর সেটা তেমন একটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। কিন্তু, আপনার সঙ্গী সেটাকে নিয়ে পাবলিক প্লেসেই চিৎকার করেন তাহলে সেটা একেবারেই ঠিক না। তবে আপনার ভুল যদি মারাত্মক হয় তাহলে কিছু করার নেই। তবে রিঅ্যাক্ট করার কথা না বলে তাকে বলতে পারেন এবিষয় পরে কথা বলতে।