শ্রীলঙ্কার সঙ্গে প্রথম দেখায় আগে ব্যাটিং করে বাংলাদেশ পেয়েছিল ওয়ানডেতে নিজেদের সবচেয়ে বড় জয়। ৩২১ রানের লক্ষ্য দিয়ে স্বাগতিকরা জিতেছিল ১৬৩ রানে। ফিরতি ম্যাচে ১০ উইকেটের জয়ে তার বদলা নিল সফরকারীরা। উদ্বোধনী জুটি ১১ দশমিক ৫ ওভারে জয় এনে দেয় শ্রীলঙ্কাকে। উপুল থারাঙ্গা ৩৪ রান ও দানুশকা গুনাথিলকা ৪০ রানে অপরাজিত থাকেন। এ নিয়ে ওয়ানডেতে দ্বাদশবারের মতো ১০ উইকেটে হারল বাংলাদেশ। আর শ্রীলঙ্কার কাছে তৃতীয়বার।
সিরিজে টানা তিন ম্যাচ দুর্দান্ত খেললেও চতুর্থ ম্যাচে এসে হোঁচট খেল বাংলাদেশ! যদিও প্রথম তিন ম্যাচে জয় নিয়ে বোনাসসহ ফাইনাল আগেই নিশ্চিত করেছে স্বাগতিকরা। এ ম্যাচে ইনিংসের অর্ধেক ওভারও ব্যাট করতে পারেনি মাশরাফি বিন মতুর্জার দল। ২৪ ওভারে তারা অলআউট হয়েছে মাত্র ৮২ রানে! ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এটা বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোর। এর আগে ২০০২ সালে কলম্বোয় স্বাগতিকদের বিপক্ষে ৭৬ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের ইনিংসে সর্বোচ্চ ২৬ রান করেন মুশফিকুর রহিম। এ ছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাব্বির রহমানের ১০ রান ছাড়া আর কেউই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছতে পারেননি। শ্রীলঙ্কার সুরাঙ্গা লাকমাল ২১ রানে নেন ৩ উইকেট। এ ছাড়া দুসমন্ত চামিরা ৬ রান খরচ করে শিকার করেন ২ উইকেট।
বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে স্বাগতিকরা। কিন্তু তৃতীয় ওভারে রানের খাতা খোলার আগেই সুরঙ্গা লাকমলের বলে প্লেড অন হয়ে ফেরেন এনামুল হক বিজয়। এরপর সাকিব আল হাসানও বেশিক্ষণ উইকেটে থাকতে পারেননি। পঞ্চম ওভারের তৃতীয় বলে তামিমের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির শিকার হয়ে রান আউট হন সাকিব (৮)। সরাসরি থ্রোয়ে স্টাম্প ভেঙেছেন লঙ্কান ফিল্ডার দানুষ্কা গুণাথিলাকা।
এরপর ৩৪ রানের মধ্যে তামিম ও মাহমুদউল্লাহকে হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। সাকিব আউট হওয়ার এক বল পরই ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট অঞ্চলে গুনাতিলোকার দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হন তামিম (৫)। ১১তম ওভারে লাকমলের বাউন্সার হুক করতে গিয়ে ফাইন লেগে দুশ্মন্ত চামারার তালুবন্দি হন মাহমুদউল্লাহ (৭)।
চরম বিপর্যয় কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে মুশফিক–সাব্বিরের ব্যাটে তাকিয়ে ছিল স্বাগতিকরা। কিন্তু দ্রুতই ফিরে যান সাব্বিরও। ১৭তম ওভারে থিসারা পেরেরাকে মিড অনে তুলে মারতে গিয়ে শেহান মাদুশঙ্কার তালুবন্দি হন। পরে দলীয় ৭৯ রানের মাথায় শর্ট মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান মুশফিকও।
এরপর ১১ রান তুলতেই বাংলাদেশ হারিয়েছে শেষ ৫ উইকেট। স্বাগতিকদের শেষ ৪ উইকেটের পতন হয় মাত্র ৩ রানে।