বুধবার (৭ জানুয়ারি) ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন। আগামীকাল বৃহস্পতিবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় রায় ঘোষণার আগের দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এ সংবাদ সম্মেলন করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
আদালত অঙ্গন থেকে মামলা কেন রাজনৈতিক মাঠে চলে এলো–এমন প্রশ্ন তুলে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে আদালতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। বিএনপি চেয়ারপারসন তার অপরাধের জন্য সন্ত্রাসের মাধ্যমে পুরো জাতিকে জিম্মি করে আক্রমণাত্মকভাবে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছেন।’ তিনি প্রশ্ন করেন, ‘কেউ রাজনীতি করে দুর্নীতি বা অপরাধ করলে আদালতে কি তা বিচারর্য হবে না? খালেদা জিয়া বলেই কি আইন ও বিচার বিভাগকে বিতর্কিত করতে হবে?’
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘আগামীকাল আদালত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায় দেবে। বাংলাদেশের আদালতে প্রতিদিন অসংখ্য মামলার রায় ঘোষিত হচ্ছে। আইন বলে সবাই সমান। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। কেউ অপরাধ করলে শাস্তি পেতেই হবে। এখন একটি মামলাকে কেন্দ্র করে বিএনপি সরকার ও আদালতের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে, নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করছে।’
সংবাদ সম্মেলনে রায় পরবর্তী ধাপগুলোও দেখিয়ে দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘নিম্ন আদালতের রায় যদি বিপক্ষে যায়, তিনি (খালেদা জিয়া) উচ্চ আদালতে যেতে পারবেন, সেখানেও যদি বিপক্ষে যায় আপিলের সুযোগ পাবেন। এরপর রিভিউ করা যাবে। সেখানেও রায় বিপক্ষে গেলে তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইতে পারেন। রাষ্ট্রপতি দয়ার ভাণ্ডার। আমাদের বিশ্বাস, রাষ্ট্রপতি তাকে ক্ষমা করবেন।’
রায়কে কেন্দ্র করে বিএনপি অপরাজনীতি ও নোংরা খেলা শুরু করেছে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এই মামলার সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনও সম্পর্ক নেই। এই মামালা করেছে গত তত্ত্বাবধায়ক সরকার। তিনি (খালেদা জিয়া) পারলে সেই সরকার ও দুদকের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করুক। এই মামলার সঙ্গে আওয়ামী লীগের সম্পর্ক নেই। তবে সম্পর্ক আছে এতিমদের। এতিমদের টাকা ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে নেওয়া কি দুর্নীতি নয়। ব্যক্তিগত নামে জমি কেনা কি দুর্নীতি নয়? এ ধরনের মামলা ৩৬০ দিনের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু এই মামলা ১০ বছর পর রায় হচ্ছে।’ রায়কে কেন্দ্র করে নৈরাজ্য ও নাশকতামূলক তৎপরতা চালানো হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর ব্যবস্থা নেবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন সেতুমন্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মণি, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ প্রমুখ।