এসময় বিক্ষুদ্ধরা ইউএনও’কে একটি কক্ষে আটকে রেখে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে তান্ডব শুরু করে। কেন্দ্রের টিনের বাউন্ডারি বেড়া ও বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেও ভাংচুর করে। থানা থেকে অতিরিক্ত ফোর্স গিয়ে ইউএনও’কে উদ্ধার করে। আজ শনিবার এসএসসি গণিত বিষয়ের পরীক্ষা যাদুরচর পরীক্ষা কেন্দ্রে ওই ঘটনা ঘটে।
পরীক্ষার্থীদের অভিযোগে জানা গেছে, ইউএনও স্যার একটা কেন্দ্রে বসে থাকে। একটু মাথা এদিক ওদিক হলেই খাতা বা উত্তরপত্র নিয়ে নেয়া হয়। উপজেলার অন্য কোনো কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়নি অথচ আমাদের কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা। এতে আমাদের স্বাভাবিক যে ভাবে পরীক্ষা দিতাম সেটাও ব্যাহত হয়েছে। এ কারনে সকল পরীক্ষার্থী বিক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠে বলে এক পরীক্ষার্থী জানান।
যাদুরচর উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিব ও প্রধান শিক্ষক ময়নাল হক জানান, এ কেন্দ্রে ১ হাজার ৭৭জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। কেন্দ্রের বিভিন্ন কক্ষে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে মনিটরিং করা হয়। এর ফলে পরীক্ষার্থীরা নকলসহ কোনো সুযোগ সুবিধা পাওয়ার কোনো উপায় পায় না। তাছাড়া ওই দিন কোনো বহিস্কারের ঘটনাও ঘটেনি। মূলত নকলের সুযোগ না দেয়ার কারনে পরীক্ষার্থীরা বিক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠে।
পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা ইউএনও (উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা) দীপঙ্কর রায় বলেন, পরীক্ষার্থীদের নকলের সুযোগ না দেয়ার কারনেই তারা বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছে। এখানে কতিপয় চিহ্নিত কয়েকজন পরীক্ষার্থীর নেতৃত্বে সাধারণ পরীক্ষার্থীরা একত্রিত হয়। পরীক্ষার্থীরা যে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী সে স্কুলের শিক্ষকরাই শিক্ষার্থীদের উসকে দিয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।