আর্কাইভ  শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪ ● ৭ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: নীলফামারীতে গোপন বৈঠক থেকে জামায়াতের ৩ নেতা গ্রেপ্তার       পলাশবাড়ীতে আসামির ছুরিকাঘাতে বাদীর মৃত্যু, গ্রেফতার ১       মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান-স্বজনের ভোটে না দাঁড়ানোর নির্দেশ       ভোজ্যতেলের দাম বাড়ল, খোলা তেলে সুখবর       বিএনপি নেতা সোহেলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে রংপুরে  মানববন্ধন ও সমাবেশ       

 width=
 

জিআই পণ্য হচ্ছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ‘খিরসাপাত’

বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, রাত ০৯:৪৬

এর মিষ্টতার পরিমাণ, আকার, ওজন ও অন্যান্য বৈশিষ্ট্যের কারণে এখন দেশের চাহিদা মিটিয়ে ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রফতানি হচ্ছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের খিরসাপাত আম। সম্ভাবনা বিবেচনা করে ও আমের স্বত্ব (প্যাটেন্ট) সুরক্ষার চিন্তা থেকেই ২০১৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারি চাঁপাইনবাবগঞ্জের খিরসাপাত আমকে জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধনের আবেদন করা হয়।

আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের সহায়তায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে আবেদন প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. হামিম রেজা জানান, নিবন্ধনের ব্যাপারে ২০১৭ সাল জুড়েই কাজ করেছি। আমরা প্রমাণের চেষ্টা করেছি খিরসাপাত জাতটি চাঁপাইনবাবগঞ্জের নিজস্ব। খিরসাপাতকে আমরা নিবন্ধন আবেদন তালিকার শীর্ষে রেখেছি। কারণ এ জাতটি সবচেয়ে স্বসাদু। সবচেয়ে বেশি উৎপাদিত হয়। দেশে ও বিদেশে এর চাহিদা সবচেয়ে বেশি।

তিনি বলেন, আশা করছি, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমের মধ্যে প্রথম জিআই জাত হিসেবে খিরসাপাত অন্তর্ভুক্ত হবে। ল্যাংড়া ও আশ্বিনা জাতের আমের ব্যাপারেও আমরা আশাবাদী। পরবর্তীতে এ দুটি জাতও জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধনের আবেদন করা হবে।

তিনি আরও বলেন, এটা আমাদের জন্য খুবই আনন্দের একটি ব্যাপার। সেইসঙ্গে জিআই পণ্য হিসেবে চাঁপাইনবাবগঞ্জের খিরসাপাত আমের নিবন্ধন এ জাতটির চাষ ও ব্যবসাকে উৎসাহিত করবে। এতে উৎপাদন বাড়বে। আম কেন্দ্রিক অর্থনীতির বিকাশ হবে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হাসান জানান, ‘আমের রাজধানী চাঁপাইনবাবগঞ্জ’ শিরোনামে জেলা ব্র্যান্ডিং করা হচ্ছে। ব্র্যান্ডিংয়ের অংশ হিসেবে জেলার গুরুত্বপূর্ণ জাতের আমগুলোকে জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধনের কাজ চলছে। এর মধ্যে খিরসাপাত জাতটি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। আশা করা হচ্ছে শিগগিরই এর নিবন্ধন (জিআই নং) পাওয়া যাবে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মঞ্জুরুল হুদা জানান, জেলায় উৎপাদিত মোট আমের প্রায় ১২ শতাংশই খিরসাপাত জাতের। ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় এ আমকে হিমসাগর নামে চেনে। তবে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেলে সকলে জানবে এ আমের প্রকৃত নাম ‘খিরসাপাত’ এবং সেইসঙ্গে জেনে যাবে এ আমটি চাঁপাইনবাবগঞ্জের।

তিনি জানান, জুনের প্রথম সপ্তাহে খিরসাপাত আম বাজারে চলে আসে। এ আমের প্রায় ৭১ ভাগ খাদ্যযোগ্য অংশ, ঘ্রান সুন্দর এবং খেতেও সুস্বাদু। সে কারণে দেশ বিদেশে এ আমের বেশ চাহিদা রয়েছে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied