আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ১৯ মার্চ ২০২৪ ● ৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ১৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: রংপুরের আলু যাচ্ছে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে       গ্রাহকের ৫০ লাখ টাকা নিয়ে উধাও পোস্টমাস্টার!       চার ঘণ্টা পর উত্তরবঙ্গের সাথে ঢাকার ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক       ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন       রংপুরে মিস্টি ও সেমাই কারখানায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা      

 width=
 

সুযোগের অপেক্ষায় জাতীয় পার্টি!

বৃহস্পতিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, দুপুর ০৪:২৬

জাতীয় পার্টি আসলে কী করতে চাইছে নির্বাচনকে সামনে রেখে? তাদের একমুখে নানা সুরের উদ্দেশ্য কী? কোন পথে হাঁটছে জাতীয় পার্টি? সরকারের মন্ত্রীর দায়িত্বে থেকে নির্বাচনে অংশ নেবে না কি অন্য কোনো পথে? এ বিষয়ে খোলা কাগজের সঙ্গে কথা হয় পার্টির একাধিক নেতার।

পার্টির কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের এ ব্যাপারে বলেন, পার্টি জাতীয় পর্যায়ের রাজনৈতিক দল। সব নির্বাচনী এলাকায় আমাদের সমর্থন আছে, সাংগঠনিক কাঠামো আছে, প্রার্থী দেওয়ার মতো প্রার্থী রয়েছে। সব নির্বাচনে আমরা নিজেদের মতো প্রস্তুতি নেই। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখেও আমরা প্রস্তুত হচ্ছি। তবে রাজনীতির অবস্থান বুঝে কোথায় কার কী অবস্থান হয়, কোন পজিশনে কোন দল যায়। কে কোন অবস্থানে আসে। অনেক কিছু রয়েছে। আমাদের জন্য যেখানে বেশি সিট পাওয়ার সুযোগ সেই অপশন নেব। আমাদের সব অপশন খোলা আছে। যেকোনো সময় যেকোনো দিকে যেতে পারি। জাতীয় পর্যায়ের রাজনৈতিক দল হিসেবে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার সক্ষমতা থাকতে হবে এটাই আমাদের কৌশল।’

জাতীয় পার্টির নীতিনির্ধারকদের অন্যতম জিএম কাদের আরও বলেন, ‘বিভিন্ন কারণে মহাজোট ছেড়ে চলে আসা হচ্ছে না। প্রেসিডিয়াম সদস্যদের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে গেছে। আমরা ইতোমধ্যে জানিয়ে দিয়েছি, বিরোধী দল হিসেবে আমাদের কেউ মন্ত্রী থাকতে পারে না। এ বিষয়ে সময়মতো পার্টির চেয়ারম্যান সিদ্ধান্ত নেবেন।’

এদিকে, সংসদ অধিবেশনে জাতীয় পার্টির একাধিক সংসদ সদস্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের একাধিক মন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এরপর সম্মিলিত জাতীয় জোট গঠন করে বারবার দলটি ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার কথা বলছে। কিন্তু এখনো পার্টির চেয়ারম্যানসহ অনেকেই সরকারি সুবিধা ভোগ করে যাচ্ছেন। তাই প্রশ্ন থেকেই যায়, কোন পথে জাতীয় পার্টি?

এ প্রসঙ্গে পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীলশুভ্র রায় বলেন, শুরু থেকে আমরা মহাজোটের সঙ্গে থাকলেও যখন থেকে সম্মিলিত জাতীয় জোট গঠন করেছি, তখন থেকে বলছি, ৩০০ আসনে প্রার্থী দেব। মূলত মহাজোট থেকে বের হয়ে আসব, বিধায় আমরা এমন কথা বলছি। মন্ত্রীর পদে থেকে সম্মিলিত জোট থেকে নির্বাচন করা হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে কোনো মন্তব্য করেননি জাতীয় পার্টির এই নেতা।

অপরদিকে, জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমীন হাওলাদার বলেন, আমরা বারবার বলছি, ৩০০ আসনে প্রার্থী দেব। এটাই তো স্পষ্ট কথা।

মন্তব্য করুন


 

Link copied