আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: জমি রেজিস্ট্রি করে না দেয়ায় বাবাকে কবর দিতে ছেলের বাঁধা ॥ পুলিশের হস্তক্ষেপে দাফন সম্পন্ন       নীলফামারীতে স্বামীর প্রথম বিয়ের খবরে নববধূ দ্বিতীয় স্ত্রীর আত্মহত্যা ॥ স্বামী গ্রেপ্তার       রংপুরবাসীর জন্য সরকারি চাকরি, পদ ১৫৯       স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা      

 width=
 

উদ্বোধনের অপেক্ষায় ধরলা-দ্বিতীয় তিস্তা সড়ক সেতু

মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, দুপুর ১০:২৭

দ্বিতীয় ধরলা সেতু চালু হলে সহজেই কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী ও ভুরুঙ্গামারী উপজেলার মানুষ লালমনিরহাট সদর উপজেলায় যাতায়াত করতে পারবেন। একই সঙ্গে রংপুর বিভাগীয় শহরের সঙ্গেও যুক্ত হতে পারবেন। এতে রংপুরের সঙ্গে ফুলবাড়ী ও ভুরুঙ্গামারী উপজেলার দূরত্ব কমবে প্রায় ২০ কিলোমিটার। ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থার পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্যেও এ অঞ্চলের দৃশ্যপট বদলে যাবে।

এদিকে দ্বিতীয় তিস্তা সড়ক সেতু এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সব কাজ শেষে এখন সেতুটি খুলে দেয়ার অপেক্ষায় আছে। সেতুটি খুলে দেয়া হলে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই রংপুর শহরের সঙ্গে লালমনিরহাটের আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলার লোকজন যোগাযোগ করতে পারবেন। এর সুফল পাবে রংপুরের পিছিয়ে থাকা গঙ্গাচড়া উপজেলার মানুষও।

ব্যবসায়ীরা জানান, সেতু দুটি এ অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্য ও উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাতে দারুণ ভূমিকা রাখবে। আর দ্বিতীয় তিস্তা সড়ক সেতু চালু হলে পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দরের সঙ্গে সড়কপথে বিভাগীয় শহর রংপুর ও ঢাকার দূরত্ব কমে যাবে কমপক্ষে ৬০ কিলোমিটার। এতে তারা কম সময়ে পণ্য পরিবহনে সক্ষম হবেন।

বুড়িমারী স্থলবন্দর ব্যবহারকারী মেসার্স সায়েদ এন্টার প্রাইজ সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ও আমদানিকারক ব্যবসায়ী সায়েদুজ্জামান সাঈদ বলেন, কাকিনা-মহিপুর দ্বিতীয় তিস্তা সড়ক সেতু চালু করা হলে বুড়িমারী-লালমনিরহাট-বড়বাড়ী হয়ে ঘুরে আর রংপুর যেতে হবে না। এতে অল্প সময়ে পণ্য গন্তব্যে পাঠানো যাবে। কমবে পরিবহন খরচও।

লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালে ১২ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১২১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ব্যয়ে কাকিনা-মহিপুর দ্বিতীয় তিস্তা সড়ক সেতুর নির্মাণকাজের ভিত্তি ফলক উদ্বোধন করেন। ২০১৪ সালের ৩১ জুনের মধ্যে সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স নাভানা (জেভি) কনস্ট্রাকশন তা শেষ করতে না পারলেও সময় বৃদ্ধি করে কাজ শেষ করেন।

এদিকে, ২০১২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লালমনিরহাটের কুলাঘাট-কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে ধরলা নদীর ওপর ৯৫০ মিটার পিসি গার্ডার দ্বিতীয় ধরলা সেতুর ভিত্তি প্রস্তুর স্থাপন করেন। ২০১৪ সালের ২৪ এপ্রিল ২৯১ কোটি ৬৩ লাখ ২২৩ টাকা ব্যয়ে সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়ে শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৭ সালের ২৪ জুন। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিমপেক্স-নাভানা সময় বৃদ্ধি করে কাজ শেষ করেন।

লালমনিরহাটের সাবেক চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শেখ আব্দুল হামিদ বলেন, সেতু দুটি পিছিয়ে থাকা রংপুর অঞ্চলের ইতিবাচক আর্থসামাজিক পরিবর্তন আনবে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির পাশাপাশি নতুন কর্মসংস্থান ও বাণিজ্য সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও লালমনিরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন বলেন, তিস্তা-ধরলা নদী লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও রংপুরবাসীর উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার অন্তরায় ছিল। এ অঞ্চলের দারিদ্র্যপীড়িত মানুষকে অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে নিতে কাকিনা-মহিপুরে দ্বিতীয় তিস্তা সড়ক সেতু এবং কুলাঘাট-ফুলবাড়ী এলাকায় দ্বিতীয় ধরলা সেতু নির্মাণ করেছে সরকার। শিগগিরই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতু দুটির উদ্বোধন করবেন।

মন্তব্য করুন


 

Link copied