ঘটনার বিবরনে কুর্শা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক নুরুল আমীন বুলেট জানান এলাকাটি একটু জঙ্গলে ঢাঁকাছিল, গত ১০/১২ দিন আগে ওইখানে কয়েকজন সাপুড়ে সাপ ধরতে আসে এবং সাপ ধরার এক পর্যায়ে সাপুড়ের দলের একজন বর্তমান মাজার এলাকায় সাপ ধরতে গেলে সে ওখানেই অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়। এর পর সাপুড়েদের সর্দার এসে তার জ্ঞান ফিরিয়ে আনলে সে জানায় সাপ ধরতে ওই স্থানে গেলে একজন লম্বা বুজূর্গ ব্যক্তি তাকে বলেন যে ওই সাপ গুলো তার পাহাড়ায় রয়েছে । বুজূর্গের ধমকে সে ওখানেই অজ্ঞান হয়ে পড়ে। বিষয়টির সত্যতা নিয়ে চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসন সরকার বলেন, জৈনপুরী পীর মরহুম মাওলানা কেরামত আলী সাহেবের উত্তরসুরী যেহেতু বলেছেন এখানে একজন বুজুর্গর কবর রয়েছে, সেহেতু বিষয়টি সত্য ও সঠিক হতে পারে। এছারাও আমার স্ত্রীকে তিনি স্বপ্নে দেখিয়েছেন,এবং ভয়করতে নিশেধ করছেন। এ মাজারটি আবিস্কারের মুল ব্যক্তি ওই এলাকার আঃ ছামাদ (৯৫) জানান তিনি কিছু দিন আগে স্বপ্নে আদিষ্ট হন যে মাজারটি সংরক্ষন করার। এর পর তিনি স্থানীয় মসজিদের মুসল্লিদের নিয়ে বাঁশ ঝাড়টি ও জঙ্গল পরিস্কার করে মাজার তৈরী করেন। এ বিষয়ে এলাকাবাসী ছোলায়মান (৬০) জানান বাপ দাদার কাছে শুনেছি ৩’শ বছর আগে সৌদি আরব থেকে আসা একজন বুজূর্গ পীর এর কবর স্থান ওখানে ছিলো। ডাঃ আঃ রশিদের দাদার আমলে তারা হয়তো একসাথে এসেছেন। স্থানীয় অনেকেই জানান ওই এলাকার মাটি খেয়েও বিভিন্ন জটিল রোগ থেকে রক্ষা পেয়েছেন। ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন সরকার বলেন ঘটনা সম্পূর্ন সঠিক,গত বৃহস্পতিবার বাদজোহর স্থানীয় লোকজন নিয়ে মিলাদ দিয়ে মাজার স্থলটি স্থায়ী ভাবে সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেয় হবে। বিষয়টি নিয়ে কাউনিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন অর রশীদ জানান,মাজার (কবর) এর বিষয়টি তিনি জানেন তবে কবরটি নিয়ে যাতে কোন রুপ ব্যবসা বা ভন্ডামী না হয় সে দিকে পুলিশ প্রশাসন সচেতন দৃষ্টি রাখছে।